ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে : মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন

মিজানুর রহমান-ভোলা প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:৩২:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহন্মে বীর বিক্রম বলেছেন,কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মক্ত করে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক ৩ বারের প্রধান মন্ত্রী বেগম খাদো জিয়াকে আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা করতে দিবেনা, তাকে তিলে তিলে মারার পরিকল্পনায় রয়েছে, বিনা চিকিৎসায় বেগম জিয়ার কিছু হলে আওয়ামী সরকার পালানোর পথ পাবেনা, এদেশের জনগন তাদেরকে সে সুযোগ দিবেনা।

আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেদিন তার পরে অন্য কথা। সংলাপের নামে নতুন নাটক শুরু করেছেন। সংলাপ নাটক বাদ দিয়ে আগে পদত্যাগ করুন। পরিষ্কার করে বলছি, নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করুন। ইউনিয়ন নির্বাচন দেখছেন ? নৌকার প্রতি দেশ বাসির কেমন গৃন্না জমেছে, যেখানে স্বতন্ত্র প্রর্থীরা-১৫টি পদ পায় আর নৌকা পায় ৫টি তাও জোর করে, কোথায় রয়েছে আওয়ামী লীগ? নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিয়ে দেখেন সারা বাংলায় আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবেননা। আপনাদের লোকেরাই আর নৌকায় ভোট দিবেনা। কারন নৌকা প্রতীকতো টাকায় বিক্রি হয়েছে। যোগ্য কোন প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দেননি। ভোলা সদরে ১২টি ইউনিয়নে ১১টিতে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন জুয়ারী, ইয়াবা ব্যসায়ী, মাটি ও চাউল চোরকে। ভাল কাউকেই নৌকা প্রতীক দেননি তারাই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তার পরে তাদেকে দল থেকে চিরতরের জন্য বহিস্কার করে তাদের উপর সন্ত্রাসী বাহিন লেলিয়ে দিয়ে মা-বোন, স্ত্রী-মেয়েদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করে ভোলাকে একটি সন্ত্রাসের জনপদ সৃষ্টি করেছেন। মা-বোনেরা নিরাপত্তা চেয়ে ঝাড়ু মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেয়, লীগ সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভোলার সাধারন মানুষ দিনে নিঃভয়ে চলা ফেরা করতে পারেনা, রাত নেমে আসলে গুলি, বোমা বিস্ফোরনের শব্দে আতংকে নিঃঘুম রাত কাটায়।

খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাতিঘর। তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট, দানবী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। 

গত কাল বুধবার (২৯ ডিসেন্বর) দুপুরে ভোলা শহরের নলীনী দাস স্কুল মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ভোলা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমঘীরের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রম্যানের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে হাফিজ আরও বলেন, একাত্তর সালে যে অধিকারের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, ভোটবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, গণতান্ত্রিক দেশ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যেকের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই অবস্থা এখন আর নেই। 

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করে কী হবে ? আওয়ামী লীগক্ষমতায় থাকলে তারা তো কাজই করতে পারে না। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, নেতারা ভয় দেখায়- কথামতো কাজ না করলে চাকরি থাকবে না। এ ধরনের নির্বাচন কমিশন জনগণ আর চায় না। জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, আপনাদের দায়িত্ব সংবিধান রক্ষা করা,অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে নয়। দুর্নীতিবাজ,ভোট চোর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিরাপত্তার জন্য নয়। জনগণ আজ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। খালেদা জিয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী। স্বৈরাচারী সরকারের কারাগারে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে।

অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই দানব সরকারের পতন ঘটিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন - কেদ্রীয় বিএনপির  যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড.মজিবুর রহমান সরেয়ার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক-এ্যাড.বিলকিছ জাহান শিরিন,সহসাংগঠনিক সম্পাদক - আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহসাংগঠকি সম্পাদক-মাহাবুবুল হক নান্নু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য- সাবেক এমপি মোঃ নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য-সাবেক এমপি মোঃ হাফিজ ইব্রাহীম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য-মোঃ নুরুল ইসলাম নয়ন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য মোঃ হায়দার আলী লেলিন, এ্যাড. জাহিদু হক, রফিকুল ্সলাম, শহিদুল্লাহ তালুকদার, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সহসভাপতি রাইসুল আলম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক- হুমায়ুন কবির সোপান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক-তরিকুল ইসলাম কায়েদ, কবির হোসেন, ইয়ারুল আলম লিটন, হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক-এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব- আসিফ আলতাফ, জেলা যুবদলের সভাপতি-জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারন সম্পাদক- আঃ কাদের সেলিম প্রমূখ।