ঢাকা, শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ই মাঘ ১৪৩১

জনসংখ্যা নয়, ভৌগলিক আয়তনের উপর ভিত্তি করে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করতে চায় ইসি

এম এম লিংকন | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:১৫:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ঢাকা-গাজীপুর-চট্রগাম মহানগরীতে অল্প আয়তনের জায়গায় বিপুল পরিমান মানুষের বসবাসের কারনে জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে এতোদিন সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বর্তমান ইসি চায়ছে, ভৌগলিক আয়তন, অবস্থান এবং সব শেষ জনশুমারির ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করতে। 

এছাড়া পাসপোর্ট এবং জন্ম নিবন্ধনের উপর ভিত্তি করে বাকিগুলো (অন্য কাগজপত্র) ঐচ্ছিক করে প্রবাসীদের ভোটার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগে. জেনা. (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে তৃতীয় কমিশন সভায় বসেন অন্যচার কমিশনার। 

তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করেছি জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১ পর্যালোচনা করে জানতে পেরেছি বর্তমান আইনে দুটো বিষয় সমস্যা সৃষ্টি করছে। তার মধ্যে একটি হলো জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা সেটার প্রস্তাব করতে চাচ্ছি যে, ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থা ও অবস্থান এবং সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদন ইত্যাদির ভিত্তিতে এই সীমানা নির্ধারণের ব্যবস্থা করা।

আমাদের বাংলাদেশের জনসাধারণ শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা রয়েছে এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, এটাকে শুধুমাত্র জনসংখ্যার ওপর অথবা জনশুমারির ওপর রাখলে দেখা যাবে শহরের দিকের আসন সংখ্যা গুলো ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকবে এবং অপর এলাকাগুলোর আসন সংখ্যা কমে যাবে সেটা রিপ্রেজেন্টিং হবে না বলে কমিশন মনে করে।

সংসদীয় আসনের সীমার নির্ধারণ আইন-২০২১ এর একটি উপধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ আইনের একটি উপধারা রয়েছে সেই উপধারায় একটি টাইপিং মিসটেক আছে আমাদের কাছে তা মনে হচ্ছে এবং আমরা আমাদের রেকর্ডের দিক থেকে যেটা পেয়েছি যে আমাদের এখান থেকে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল যে উপধারা ২ কে ধারণ করে উপধারা ৩ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে টাইপিং মিসটেকের কারণে সম্ভবত এখানে উপধারা এক হয়ে গিয়েছে ফলে যেটা দাড়িয়েছে যে নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। এ সমস্যাটি আমরা তুলে ধরে এটা সংশোধনের জন্য লিখবো।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৪১টি সংসদীয় আসনে ২৪৮টি সীমানা সংক্রান্ত আবেদন এসেছে যার বেশির ভাগই আগের সীমানা ফিরে পেতে। আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

বায়ান্ন/এমএমএল/একে