ঢাকা, শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ই মাঘ ১৪৩১

শেখ রেহানা পরিবারের গাজীপুরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

এম এইচ শাহীন, গাজীপুর | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ০৫:০১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

গাজীপুরে শেখ রেহানা পরিবারের ৪ বিলাসবহুল বাংলো বাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, তার স্বামী শফিক সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক, দেবর তারেক সিদ্দিক, তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক ও মেয়ে বুশরা সিদ্দিক। 

জানা যায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জয়দেবপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান কানাইয়া এলাকায় টিউলিপ’স টেরিটরির বাংলো বাড়ি। তবে ৫ আগস্টের গণআন্দোলনে জনরোষে জৌলুস হারিয়ে এগুলো এখন ভাঙচুর আর আগুনের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে। বাড়িটি শফিক আহমেদ সিদ্দিকির বলেই পরিচিত। যিনি শেখ রেহানার স্বামী এবং টিউলিপ সিদ্দিক, আজমেরি সিদ্দিক এবং ববি সিদ্দিকের বাবা। ৩০ বিঘার এই বাগান বাড়িতে বিশালাকার পুকুর, শান বাঁধানো ঘাট, অভিজাত ডুপ্লেক্সসহ রয়েছে একাধিক বাংলো। শীত মৌসুমে শেখ রেহানার পরিবার আসা- যাওয়া করতেন এখানে। ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আনাগোনা, যা এখন পরিত্যক্ত।

গত ৫ আগস্টের পর বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে টিউলিপ টেরিটোরিতে ভাঙচুর চালায়। স্থানীয়রা জানান, প্রথমে বিরোধপূর্ণ তিন বিঘা জমি দিয়ে বাগানবাড়ি শুরু হলেও ধীরে ধীরে বেড়ে এর আয়তন এখন ৩০ বিঘার ওপরে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এটা একটা গ্যাঞ্জাইমা জমি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শফিক সাহেব কিনে নেন। এরপর আরও জমি কিনে বাগান বাড়ি করেন। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের কপিতে ড. সফিক সিদ্দিকির নাম।

এছাড়া শেখ রেহানা ও তার পরিবারের নামে মৌচাকে বাগান বাড়ি, ফাউকাল এলাকায় বাংলো এবং বাঙালগাছ এলাকায় তার দেবর রফিক সিদ্দিকীরও বাগানবাড়ি। গাজীপুরে রেহানা পরিবারের বিপুল সম্পদের উৎসের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। 

বাড়িটির একজন কর্মচারী বলেন, আমরা এখানে চারজন আছি। এরমধ্যে একজন দারোয়ান। আর বাকিরা এখানে বাগানে কাজ করি। আমাদের বেতন প্রতি মাসে ওনারা দিয়ে দেন। আর আমরা প্রতি সপ্তাহে যা সবজি হয় তা ওনাদের কাছে পাঠিয়ে দেই। আগে সাহেব আসতেন। এখন রাস্তা খারাপের কারণে সাহেব আর আসেন না।

এবিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন বলেন, আগে রিপোর্ট পাই। আমরা যারা কাজ করছি এটা নিয়ে। রেভিনিউ সেকশন থেকে রিপোর্ট আসুক তখন এটা বলতে পারব।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে