কর্ণফুলী উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতের ৯ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যাক্তি কর্ণফুলী উপজেলার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪৫)।
১৮ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর রাতে একটি বিয়ের আনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার পথে ছেলের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে ছুরিকাঘাত করে। সাথে সাথে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের পুত্র মোহাম্মদ কাইয়ূম বায়ান্নকে জানান, ‘কিশোর গ্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে বাধ্য হয়ে হুমকির মুখে চাঁদা দিয়ে আসছিলেন। ওদিন চাঁদা না দেয়ায় তারা বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবাকে ছুরি মারে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আজ সবাইকে হারিয়ে আমার বাবা আর নেই।
মঙ্গলবার রাতে এ কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামি মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ বকুল, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ শফি, নুর মোহাম্মদ, ইমরানসহ আরও অজ্ঞাতনামা অনেকে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, কিশোর গ্যাং কর্তৃক জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা হয়েছিল। ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম মারা যাওয়ার পর হত্যা মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।