ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

কল্লগ্রামে সিলেট জেলা ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতের শেষ পর্যায়ে

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৩০:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সিলেট জেলার তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা শুরু হবে শহরতলির কল্লগ্রামে। ৩০ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ওই ইজতেমা। ১ জানুয়ারি বেলা ১২টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে সিলেট জেলা ইজতেমা। 

 

ঘোষণা দেয়ার পরপরই এক মাস ধরে এই ইজতেমার মাঠ তৈরিতে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১২০০ স্বেচ্ছাসেবী অবিরাম কাজ করছেন। সিলেট জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ওইসব স্বেচ্ছাসেবী অংশ গ্রহণ করছেন মাঠ তৈরিেেত। মাঠ তৈরির প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বুধবারের মধ্যে মাঠ তৈরির শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

 

ইজতেমা মাঠের মুরুব্বি মো. আবদুল হান্নান জানান, দ্বিনের খেদমতের জন্যে আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি। ৩০ ডিসেম্বর আম বয়ান শুরু হবে। ১ জানুয়ারি বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত যিনি পরিচালনা করবেন, তাঁর নাম এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে ইজতেমা শুরু হওয়ার পরপরই মোনাজাত পরিচালনাকারীর নাম নির্ধারিত হবে।

 

ইজতেমা মাঠের মুরুব্বি মো. বিলাল জানান, দেড় লাখ মানুষের স্থান হবে এই ইজতেমা মাঠে। আশপাশ এলাকার লোকজন তাদের মালিকানাধীন জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন তিনদিনের ইজতেমার মাঠের জন্যে। ওই জায়গায়ও ইজতেমার খিত্তা তৈরি করা হচ্ছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এক সাথে ওজু করতে পারবেন আড়াই হাজার মুসুল্লি। বাথরুম রয়েছে হাজারের ওপরে। নিজস্ব বিদ্যুতের পাশপাশি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। 

 

ইজতেমা মাঠের অপর এক মুরুব্বি কবির আহমদ জানান, চিকিতসার জন্যে দুইটি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। নর্থইস্ট হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম থাকবে মাঠের পূর্ব পাশে। এখানে আবুল খায়ের গ্রুপের মেডিকেল টিম থাকবে এম্বুলেন্স সেবাসহ। মাঠের পশ্চিম পাশে থাকবে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টিম। র‌্যাব ও পুলিশ প্রশাসন দফায় দফায় ইজতেমা মাঠে যাচ্ছেন। নিরাপত্তায় র‌্যাব ও পুলিশ প্রশাসন কাজ শুরু করবেন ২-১ দিনের মধ্যে। 

 

ইজতেমা মাঠের সার্বিক অবস্থা দেখার জন্যে মাঠ পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, খাদিম পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বেলাল, জেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আফসর আহমদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। 

ইজতেমা মাঠে প্রায় সময় অবস্থান করেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, শান্তির স্থান এই ইজতেমা মাঠ। গত এক মাস ধরে তিনি এই মাঠে যাতায়াত করেন বলে জানান।