দেশে একসঙ্গে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছে বলে যে বিতর্ক উঠেছে, তা ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে সারা দেশে এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে এ দাবি করেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে এমপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনের মাধ্যমে নতুন এমপিরা কার্যভার গ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানকে ঠিকভাবে ইন্টারপ্রেট না করে দেশে একসঙ্গে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন বলে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে সারা দেশে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। সংবিধানের যে আর্টিকেলগুলো আছে সেটি সম্পর্কে তাদের ভালো জ্ঞান নেই। তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তারা কীভাবে এমপির কার্যকর গ্রহণ করবেন - সে বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলো পড়ে শোনান আইনমন্ত্রী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিরা কীভাবে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে বসলেন, - এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রীর কার্যক্রম চালাতে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো মন্ত্রী এমপি হিসেবে কোনো কাজ করছেন না। এমপির কার্যভার গ্রহণ করার পরেই মন্ত্রীরা এমপির কাজগুলো করবেন।