সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে রাতের আঁধারে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয় নুর উদ্দিনকে। হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে নদীতে পাওয়া যায় নুর উদ্দিনের মরদেহ। মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায় ১৬টি ছুরির ঘা রয়েছে তার শরীরে।
এ ঘটনায় এজাহার নামিয় প্রধান আসামি মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঢালারপাড় গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের আরো একটি হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও ২টি মাদক মামলা ও ১টি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। নুরুল ইসলাম এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। মদ, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ সব ধরনের মাদক বিক্রি করতো সে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, ১৩ এপ্রিল ধলাই নদীর ডালারপাড় কালাবান নামক স্থানে নুর উদ্দিনের ছুরিকাঘাত করা লাশ পাওয়া যায়। এর পর পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নামে। ঘটনার ২ দিনের ভিতর খুনের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় পুলিশ। নিহত নুর উদ্দিনের মুঠোফোনের নাম্বার ট্রেকিং করে হত্যাকারীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিল্লোল রায় গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পিতা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এজাহার নামিয় একজনকে গ্রেফতার করেছি। এর সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।