গতকাল সোমবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও প্রবল বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে টাঙ্গাইলের সখীপুরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় দেড় শতাধিক কলাবাগান মালিকের ১০ হেক্টর জমির কলা ও আড়াই হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো বাতাসের কারণে বাগানে হাজার হাজার কলাগাছ মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। পেপে গাছগুলো পেপেসহ বাতাসে ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে বেগুন, কাচামরিচ, টমেটো ক্ষেতে। এ ছাড়াও বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় সরিষা, ভূট্টাসহ প্রায় সবফসলই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে।
প্রতীমাবংকী গ্রামের কলাচাষী নাসিম সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ করে আট একর ৬৪ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ১০ হাজার কলাগাছ লাগিয়েছি। আরমাত্র কদিন পর কলার ছড়ি বিক্রি করবো। কিন্তু সে আশা আমার পূরণ হলো না। সোমবারের ঝড়ে আমার বাগানের তিন হাজার কলাগাছ ভেঙে পড়ে প্রায় ১১ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়লাম।
সখীপুর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার শতাধিত কলাবাগান মালিকের প্রায় ১০ হেক্টর জমির কলা ও আড়াই হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ও শাকসবজি মিলে প্রায় দেড় কোটির টাকার কৃষিপণ্যের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সহায়তা দেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছেও বলেও তিনি জানান।