সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের জাউয়াবাজার ইউনিয়নে দু'পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নারী- শিশুসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে ইউনিয়নের সাউদেরগাঁও গ্রামে মসজিদের জমির সীমানা চিহ্নিত করা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ইউনুছ খাঁন (৩০),আব্দুল মালিক (৩৫), ফরিদ খাঁন(৩৮),শিপা বেগম(১৮),আশিকুল ইসলাম (৩২),বদরুল আলম (১৮), মকবুল মিয়া (১১), আব্দুর রহমান খাঁন (৬০), ইমামুল হক(১৯), রিয়াজ উদ্দিন (৩৫)-সহ গুরুতর আহত অন্তত ৩০/৩৫ জনকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহত দের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গ্রামের খাঁন এবং শেখ গোষ্টির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মসজিদের জমির সীমানা চিহ্নিত করতে গ্রামে এক বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে খান গোষ্টির মুহিব খাঁন, মজম্মিল খাঁন এবং শেখ গোষ্টির জয়নাল আবেদীন, শেখ এহিয়ার মধ্যে কথা কাটা-কাটি ও হাতাহাতির ঘটনা নিয়ে গ্রামে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গ্রামের দু' পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে সালিশকারি, শিশু,নারীসহ দু'পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে ধরনা করা হচ্ছে।
ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন কাঁচের বোতল, ইট-পাটকেল,টেটা,লাঠি সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে।খবর পেয়ে জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। এখনো গ্রামে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইউপি সদস্য আমতর আলী জানান, দুই গোষ্টির মধ্যে পুর্ব বিরোধ ছিলো। মসজিদের জমি মাপা- মাপি নিয়ে ও ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তারা উভয় পক্ষই গ্রামের মুরব্বিদের কথা- বার্তা শুনতে রাজি নয়। সংঘর্ষে না জড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে।
জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আহাম্মেদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষে গুরুতর আহত দের সিলেটে পাঠানো হয়েছে। গ্রামে উত্তেজনা আছে তাই এখনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।