সুনামগঞ্জের ছাতকে এক কিশোরীকে ঘর্ষণের অভিযোগে ৪ সন্তানের জনককে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ফয়জুল হক (৪০) উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের মুলতানপুর গ্রামের মৃত সুলেমান আলীর ছেলে।
বুধবার (১০ মে) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ হোলাল উদ্দিনের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩ মে দুপুরে মুলতানপুর গ্রামের এক দিনমজুরের বসতঘরে ঢুকে তার কিশোরী মেয়েকে বেঁধে ‘ধর্ষণ’ করেন ফয়জুল।
ভিকটিমের পরিবার জানায়- ঘটনার সময় কিশোরীটি মা নানার বাড়িতে ও বাবা ধান কাটতে হাওরের ছিলেন। ঘটনার পরদিন (৪ মে) সকালে গ্রামের ফুল মিয়ার বাড়িতে এ বিষয়ে এক সালিশবৈঠক বসে। বৈঠকে ফয়জুলের চাচাতো ভাই- শান্তিগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। এসময় শাস্তি হিসেবে ফয়জুলের মাথার চুল কর্তন ও গলায় জুতার মালা পরানো হয়।
এ ঘটনার পরদিন (৫ মে) সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে ৪ ফয়জুল হককে আসাসি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য্য ছিলো বুধবার। সকালে তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ হোলাল উদ্দিনের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ফয়জুলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির।