সিলেটের জকিগঞ্জের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা সুমন আহমদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে সিলেট নগরীর কাজলশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চোরাচালান মামলায় তাকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (সিলেট দক্ষিণ) জোনের এসআই আবুল কালাম আজাদ।
গ্রেফতারকৃত সুমন আহমদ চৌধুরী জকিগঞ্জের বারহাল ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বারহাল ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরআগে তিনি ঐ ইউনিয়নের মেম্বার ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই রাতে জকিগঞ্জের বারহাল ইউপির নূরনগর গ্রামের একটি দোকান ঘরে ভারতীয় চিনি অবৈধভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে মর্মে খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশ মোট ৯ হাজার ৯৬০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ ও জামাল আহমদ (২২) নামের একজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সিলেট গোয়েন্দা পুলিশ (দক্ষিণ জোনের) এসআই নোটন কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় জামাল আহমদকে গ্রেফতার ও সুমন আহমদ মেম্বারকে এবং মাসুম আহমদ (৩০) কে পলাতক দেখানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা সুমন আহমদ মেম্বার প্রভাব খাটিয়ে সুরমা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, চোরাচালান, ভারতীয় শিলং জুয়ার খেলার প্রধান এজেন্টসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (সিলেট দক্ষিণ) জোনের এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রেফতারকৃত সুমন আহমদকে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। জব্দকৃত অবৈধ চিনিগুলো সুমন আহমদ মেম্বারের বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সুমন আহমদকে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তবে রিমান্ড শুনানী হয়নি।