ফেনীর সোনাগাজীর উপকূলীয় চরচান্দিয়া ইউনিয়নে জমে উঠেছে নৌকা-লাঙল-হাতপাখার নির্বাচনী প্রচারণা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী আবু সুফিয়ান, হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মূফতি আব্দুর রহমান ফরহাদ নির্বাচনী মাঠে কোমর বেঁধে নেমেছেন।
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে চলেছে। গ্রামের চা দোকান ও হাট-বাজার গুলোতে চায়ের কাপে কাপে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। এই ইউনিয়নে আরো একাধিক প্রার্থী থাকলেও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু এখন মোশারফ হোসেন মিলন ও হাজী আবু সুফিয়ান, আব্দুর রহমান ফরহাদ।
ইতোমধ্যে নৌকা, লাঙল ও হাতপাখা প্রতীকের নির্বাচনী কয়েকটি অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। গানের সুরের সাথে কথার ফুলঝুরিতে মাইকিংও চলছে সমান তালে। ইতোমধ্যে তিন প্রার্থীর সাদা-কালো পোস্টারের ছাদরে ঢাকা পড়েছে সমগ্র ইউনিয়ন। চলছে মোটরসাইকেল শোডাউন।
হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রহমান ফরহাদ জানান, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মাটি আলেমদের ঘাঁটি। অতীতেও আলেমরা এই ইনিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
লাঙ্গল প্রতীকের হাজী আবু সুফিয়ান জানান, মানুষ পরিবর্তন চায়। শুধুমাত্র ইউনিয়নের মানুষের সেবা করার উদ্দেশ্যে প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
নৌকার প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মিলন বলেন, আমি বিগত পাঁচ বছর মানুষেদের সেবা দিয়ে আসছি। আমার প্রিয় ইউনিয়নবাসী উন্নয়নের প্রতীক নৌকার পক্ষে সমর্থন দেবে। এবং তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
উল্লেখ্য, চরচান্দিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নৌকা,লাঙ্গল, ও হাতপাখার বাহিরে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ দীন মোহাম্মদ আনারস, জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মফিজুল হক টেলিফোন, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু ইউছুপ চশমা প্রতীকে লড়ছেন।