নীলফামারী জলঢাকায় অদৃশ্য শক্তির জোড়ে চাকুরীর শুরু থেকে এখন পযর্ন্ত স্কুলে না গিয়ে সরকারি অংশের বেতন ভাতা তুলে আয়েশি সংসার জীবন কাটাচ্ছেন হাবীবা বেগম নামের এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও জানাযায়, হাবীবা বেগম আয়া পদে গত ২০২৩ সালের ১২ই জুন যোগদান করেন । তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে বুধবার পযর্ন্ত একবারই প্রতিষ্ঠানে যান। তাও আবার চাকুরীর মিষ্টি খাওয়ার জন্য। তারপর থেকে বর্তমান সময় তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে বাড়িতে সংসারের কাজ করে যাচ্ছেন। এতে তার কোনো জবাবদিহি নাই।
তার এহেন কর্মকান্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিতির জন্য প্রধান শিক্ষক বা ম্যানেজিং কমিটি থেকে তাকে কোনো কারন দর্শানোর নোটিশও দেননি।
অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে অসুস্থতা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এতে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিকরা হাবীবার বাড়িতে গেলে দেখেন যে তিনি সুস্থ মানুষের মতই জীবনযাপন করছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তিনি বাড়ির উঠানে ঝাড়ু দেওয়া সহ বাড়ির অন্য সব কাজ করছেন।
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতিতের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার শরীরে বিভিন্ন অপারেশন হওয়ার পরও আমি মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ে যাই। তাছাড়া ওখানে অনেক মহিলা আছে, আর স্কুলে আমার কোনো কাজ না থাকায় আমি যাই না। আপনারা যেহেতু বলছেন আমি কাল থেকে আবার স্কুলে যাবো।
এদিকে হাবীবা স্কুলে না আসায় বিভিন্ন কাজে শিক্ষক, কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মূক্ষীন হতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক জানান, হাবীবা না থাকায় বাইরে থেকে কোন মেহমান আসলে তাকে সন্মান করতে পারিনা। অথচ তিনি বাড়িতে বসেই প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে বেতন ভাতা নিচ্ছেন নিয়মিত ।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম জানান, হাবীবা অসুস্থ বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না তাই সে বিদ্যালয়ে আসে না। তার বিষয়টি সবাই জানে। তবে তার ছুটির জন্য কোনো আবেদন বা ডাক্তারের কাগজপত্র নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ