আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার। আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ে নেতৃত্ব দেওয়া এবং অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। সড়ক-মহাসড়কের যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য চলছে সমন্বিত টহল। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে। গতকালও সড়কের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিশেষ বৈঠক হয়েছে পুলিশ সদর দফতরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং টার্গেট করে একের পর এক হামলা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো জঘন্য ঘটনা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে রেল, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে ‘অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত’ শুরু করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ জন্য সারা দেশে ৬৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতামূলক ও সহিংস অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। দেশে স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বজায় রাখা এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণকে নিয়ে জনমত গঠনের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে অবরোধ চলাকালে মহাসড়কে যানবাহনের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে বলে উল্লেখ করেন। গতকাল বিকালে পুলিশ সদর দফতরে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন নিরাপদে চলাচল সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয় রবিবার ভোর ৬টা থেকে। এর সমর্থনে দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও এ কর্মসূচি পালন করছে। জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। এর পর থেকেই চলছে হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচি। জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির নামে রাজধানীসহ সারা দেশেই চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সব কিছু মাথায় রেখেই রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবি সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় টহল শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী এবং বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। রাজধানী এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে হাইরেজুলেশন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা। ইন্টারনেট সাপোর্টিভ এসব ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে দূরবর্তী এলাকায় স্থাপিত কমান্ড সেন্টার থেকে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। আবাসিক হোটেলগুলোকে রাখা হয়েছে বিশেষ নজরদারিতে। বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের জন্য দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। যে কোনো সন্দেহজনক ঘটনা উচ্চ পর্যায়কে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের এ কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা এড়াতে ঢাকাসহ সারা দেশে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। গত কয়েকদিনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরকে। গত আট দিনে রাজধানীতে ৮৯ মামলায় বিএনপির ২ হাজার ১৭২ নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। আবার ঢাকাসহ সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শাহজাহান ওমরসহ ২৬১ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন ৪০ জন। পুলিশ সদর দফতরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ হত্যা, হামলা এবং নাশকতার সঙ্গে জড়িত যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পুলিশের প্রতিটি সদস্য তাদের দায়িত্বের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের আগেই নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে রাজধানীর চার স্থানে চারটি বাসে চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সিটি সেন্টারের সামনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির একটি বাসে, নিউমার্কেটের গাউছিয়া মার্কেটের সামনে মিরপুর লিংক পরিবহনের একটি বাসে, সায়েদাবাদ জনপদ মোড় ফ্লাইওভারের নিচে একটি বাসে এবং গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটের সামনে মঞ্জিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। অপরদিকে, অবরোধে ঢাকায় গণপরিবহন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক গোলাম সামদানী বলেন, আগের মতোই গাড়ি চলাচল করবে। অবরোধে কোনো গাড়ি বন্ধ থাকবে না। যদিও যাত্রীর ওপর নির্ভর করবে লঞ্চ চলাচল। তবে বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। অবরোধে টহলে র্যাবের ৩৬০ দল : দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। রাজধানীতে ৭০টি টহলদলসহ দেশব্যাপী র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়নের প্রায় ৩০০ টহল দল নিয়োজিত ছিল। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে ৩৬০টি প্যাট্রোল এবং জয়েন্ট প্যাট্রোল চলছে। ঢাকা-বগুড়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট হাইওয়েতে পুলিশ, বিজিবি এবং আনসার নিয়ে সমন্বিত প্যাট্রোল শুরু হয়েছে। ৮/১০টি বাস একসঙ্গে করে প্যাট্রোল নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে যাচ্ছি। এর বাইরেও ওয়ারেন্টভুক্ত এবং বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করে তাকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। র্যাব জানায়, দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম চলছে। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করে, তাকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। ‘অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত’ : রেল, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে ‘অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত’ শুরু করছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ লক্ষ্যে সারা দেশে ৬৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরা সব রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে। আনসার সদর দফতরের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ ইফতেহার আহমেদ বলেন, সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও লঞ্চঘাট ছাড়াও বিশেষ করে রেললাইনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্কভাবে দৃষ্টি রাখবে। রেললাইন রক্ষায় সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৬টি পয়েন্টে ১০ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ৫ হাজার ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৫৫ হাজার অঙ্গীভূত আনসার নিজেদের দায়িত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও আশপাশের এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। বিএনপির দাবি : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে বিএনপির ১৬১ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন করে নয়টি মামলায় ১ হাজার ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৫১৫টি মামলায় ৩৯ হাজার ৬২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আন্দোলনের সময় সংঘর্ষে দলটির ১০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৯১ জন। জামায়াতের দাবি : জামায়াত দাবি করেছে, গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে জামায়াতের ৮০ নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন। ২৫ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত জামায়াতের ১৬৪৫ জন আটক হয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বলেন, অবরোধের নামে কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা বা জনগণের জানমালের ক্ষতি করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবরোধে নাশকতা ঠেকাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মাঠে ২৭ প্লাটুন বিজিবি ৩০০ টহল টিম র্যাবের : বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ ও বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের চলমান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীসহ সারা দেশে র্যাব ফোর্সেসের প্রায় ৩০০ টহল টিম নিয়োজিত রয়েছে। গতকাল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ ও র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা ও আশপাশের জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে আরও ১০ প্লাটুন বিজিবি। এদিকে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক রাখা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে র্যাব ফোর্সেস নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীতে ৭০টি টহল দলসহ দেশব্যাপী র্যাব ফোর্সেসের ১৫টি ব্যাটালিয়নের প্রায় ৩০০ টহল দল নিয়োজিত থাকবে। তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম চলমান থাকবে। কেউ কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করলে তাকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব ফোর্সেসের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। যে কোনো নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাব ফোর্সেস সার্বক্ষণিক দেশব্যাপী নিয়োজিত থাকবে। র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটেছে। যারা এ ধরনের নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে র্যাব।