ঝিনাইদহের গোলপাতা চা চত্বরের চা ও লাচ্ছির কদর কয়েক জেলা জুড়েই। এখানে চা খেতে প্রতিদিন ভীড় জমাই শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। এই দোকানের চা ও লাচ্ছির সুনাম যেন সকলের মুখে মুখে। চা ও লাচ্ছি খুবই সুস্বাদু আর দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। চা ও লাচ্ছি বিক্রি করে দোকানদার হয়েছেন স্বালম্বী।
জেলা শহরের মুজিব চত্বরের এই দোকানটির নাম গোলপাতা চা চত্বর। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভীড় জমায় ক্রেতারা। এক কাপ চা কিংবা লাচ্ছি খাওয়ার জন্য ক্রেতাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ঝিনাইদহসহ পাশ^বর্তী যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও ক্রেতারা ভীড় জমায় এই দোকানে। সুস্বাদু চা ও মজাদার লাচ্ছি খেতে অনেকেই আসেন পরিবার পরিজন নিয়ে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী পুরুষের আনাগোনায় গভীর রাত পর্যন্ত মুখর থাকে এই গোলপাতা চা চত্বর। চায়ের উপকরন হিসেবে দেওয়া হয় চিনি, গরুর দুধ, কন্ডেন্স মিল্ক, ফুল ক্রিম পাওউডার ও হরলিক্স। লাচ্ছি তৈরিতে দেওয়া হয় গরুর দুধ, আইস্ক্রীম, দইসহ নানা উপকরন। মানসম্মত, সুস্বাদু ও সাধ্যের মধ্যে দাম থাকায় দীর্ঘ অপেক্ষার পরও এক কাপ চা কিংবা লাচ্ছি খেতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
চা বিক্রেতা আপন তিন ভাই মফিজ, মামুন ও মাসুদ এবং তিন কর্মচারী মিলে তাদের বেচাবিক্রি করতেও হিমশিম খেতে হয়। যা আয় হয় তা দিয়ে কর্মচারীর বেতন দিয়েও খুব ভালো ভাবে চলে তাদের সংসার।
চা পানকারী হাসান জানান, আমি প্রতিদিন রাতে নিয়মিত গোলপাতা চা চত্বরের চা ও লাচ্ছি খেতে আসি। এখানকার চা ও লাচ্ছি খুবই সুস্বাদু। তাইতো এখানে এসেছি। আর সন্ধার পর এখানকার পরিবেশ আমার খুবই ভালো লাগে।
এখানে মালাই চা, ঘটি চা, বিরিয়ানী চা ও দুধ চা পাওয়া যায়। যার মূল্য ১৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আরও পাওয়া যয় স্পেশাল ক্ষীরসা লাচ্ছি, মিল্ক সেক লাচ্ছি ও ম্যাংগো লাচ্ছি। যা তৈরিতে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ কেজি দুধ লাগে।