কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের হত্যার বিচারসহ নয় দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে শহরের আরাপপুর থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর ঘুরে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। এর আগে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বাশ ফেলে ব্যরিকেড দেয় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এর ফলে পুরো শহরে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহের সমন্বয়ক শারমিন আক্তারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ‘একটা যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। আমরা এসব হত্যার বিচার চাই। সেই সঙ্গে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও মামলা হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তারা।’
তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে জেলায় নাশকতা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সকাল থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।