টাঙ্গাইলে চাহিদার চেয়ে ৬ হাজার ৮৬টি কোরবানির পশু বেশি রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৮১ হাজার ৫টি। প্রস্তুত রয়েছে ৮৭ হাজার ৯১টি। এর মধ্যে ষাঁড় ৪৪ হাজার ৮২৭টি, বলদ ৬ হাজার ৭টি, গাভী ৮ হাজার ২৪৭টি, মহিষ ২৩৩টি, ছাগল ২৪ হাজার ১৮২টি, ভেড়া ৩ হাজার ৫৬৪টিসহ অন্যান্য ৩২টি। টানা বেশ কয়েক বছর ধরেই এ জেলা কোরবানীর পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ৭৩ হাজার ৯৭৭টি, প্রস্তুত ছিল ৮০ হাজার ২০০টি। চলতি বছরের চাহিদা ৮১ হাজার ৫টি। প্রস্তুত আছে ৮৭ হাজার ৯১টি। এর আগে ২০২০ সালের চাহিদা ৭৩ হাজার ৫৪৭টি। প্রস্তুত ছিল ৯০ হাজার ৫২২টি। ২০১৯ সালের ঈদুল আযহায় জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ৪৭ হাজার ৫২টি, প্রস্তুত ছিল ৪৭ হাজার ৫৩টি।
এবার ঈদুল আজহায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৭ হাজার ৫৭০টি থাকলেও প্রস্তুত আছে ৮ হাজার ৫৫৩টি। এ উপজেলায় বাড়তি কোরবানীর পশুর সংখ্যা ৯৮৩টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ৫৩৭টি ষাঁড়, ৭১০টি বলদ, ৬৫৯টি গাভি, ২৫টি মহিষ, ১ হাজার ৬৭৮টি ছাগল ও ৯৩৩টি ভেড়াসহ অন্যান্য ১১টি। বাসাইল উপজেলায় চাহিদা ১ হাজার ৫২০টি আর প্রস্তুত ১ হাজার ৯২৫টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৪০৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ১ হাজার ৩২৯টি ষাঁড়, ১১টি বলদ, ৩৭০টি গাভি, ১৮০টি ছাগল ও ৩৫টি ভেড়া। দেলদুয়ার উপজেলায় চাহিদা ৫ হাজার ৩৩৬টি আর প্রস্তুত ৫ হাজার ৪০৬টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৭০টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ৪৮৩টি ষাঁড়, ২২টি গাভি, ১২টি মহিষ, ৭৬৪টি ছাগল ও ১২৫টি ভেড়া। সখীপুর উপজেলায় চাহিদা ৯ হাজার ৯১৭টি আর প্রস্তুত ১০ হাজার ২টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৮৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ৮৪৪টি ষাঁড়, ৪২৪টি বলদ, ১ হাজার ২৮১টি গাভি, ৬৯টি মহিষ, ৩ হাজার ১২২টি ছাগল ও ২৪১টি ভেড়াসহ অন্যান্য ২১টি। ঘাটাইল উপজেলায় চাহিদা ৪ হাজার ৭২২টি আর প্রস্তুত ৪ হাজার ৯২২টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ২০০টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৩ হাজার ৫০টি ষাঁড়, ২০৫টি বলদ, ৪৪০টি গাভি, ২২টি মহিষ, ১ হাজার ১২৫টি ছাগল ও ৮০টি ভেড়া। গোপালপুর উপজেলায় চাহিদা ১০ হাজার ২০০টি আর প্রস্তুত ১৩ হাজার ৬৯৯টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৯টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ২৩৭টি ষাঁড়, ১ হাজার ২২০টি বলদ, ১ হাজার ৩৪০টি গাভি, ২টি মহিষ, ৬ হাজার ২০০টি ছাগল ও ৭০০টি ভেড়া। ভূঞাপুর উপজেলায় চাহিদা ১১ হাজার ২০০টি আর প্রস্তুত ১২ হাজার ৪৬৮াট। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ১ হাজার ২৬৮টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৬ হাজার ৭৫০টি ষাঁড়, ১ হাজার ২৫০টি বলদ, ১ হাজার ৩৬০টি গাভি, ৮টি মহিষ, ২ হাজার ৭৫০টি ছাগল ও ৩৫০টি ভেড়া। ধনবাড়ী উপজেলায় চাহিদা ৬ হাজার ৬২০টি আর প্রস্তুত ৬ হাজার ৯৮৯টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৩৬৯টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৩ হাজার ৩৪০ টি ষাঁড়, ২৩৩ টি বলদ, ৯১১ টি গাভি, ২৫টি মহিষ, ২ হাজার ১৪৩টি ছাগল ও ৩৭৩টি ভেড়া। মির্জাপুর উপজেলায় চাহিদা ৪ হাজার ৮৫টি আর প্রস্তুত ৪ হাজার ৮৫টি। এ উপজেলায় চাহিদা আর প্রস্তুত পশুর সংখ্যা সমান। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৩ টি ষাঁড়, ২৪৭ টি বলদ, ১৬৯ টি গাভি, ৩৭ টি মহিষ, ৮৩৬ টি ছাগল ও ১৫৩ টি ভেড়া। কালিহাতী উপজেলায় চাহিদা ৮ হাজার ১৩৫ টি আর প্রস্তুত ৮ হাজার ১৩৫। এ উপজেলায় চাহিদা আর প্রস্তুত পশুর সংখ্যা সমান। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ২৭৯ টি ষাঁড়, ৮২৭ টি বলদ, ৪২৫ টি গাভি, ২ হাজার ২৭৯ টি ছাগল ও ৩২৫ টি ভেড়া। নাগরপুর উপজেলায় চাহিদা ৬ হাজার ১০০টি আর প্রস্তুত ৫ হাজার ৭২৫টি। এ উপজেলা ঘাটতি পশুর সংখ্যা ৩৭৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ২ হাজার ৪৫০ টি ষাঁড়, ৬০০ টি বলদ, ৫৫০ টি গাভি, ১ হাজার ৯৫০ টি ছাগল ও ১৭৫ টি ভেড়া। মধুপুর উপজেলায় চাহিদা ৫ হাজার ৬০০টি আর প্রস্তুত ৫ হাজার ১৮৩টি। এ উপজেলা ঘাটতি পশুর সংখ্যা ৪১৭টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ২ হাজার ৮৮৫ টি ষাঁড়, ২৮০ টি বলদ, ৭২০ টি গাভি, ৩৩ টি মহিষ, ১ হাজার ১৫৫ টি ছাগল ও ১১০ টি ভেড়া।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া জানান, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলায় কোরবানীর চাহিদার চেয়ে ৬ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত আছে। খামারী আর গৃহস্থদের লালন পালনকৃত কোরবানী পশুর প্রাথমিক তালিকায় এ সংখ্যা নির্ধারন হলেও মাঠ পর্যায়ের হিসেবে পশুর সংখ্যা আরও বাড়বে। ঈদুল আযহার প্রতিটি কোরবানির পশু হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান তিনি।