টাঙ্গাইল পৌর শহরের সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবন থেকে শিহাব মিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। রিপোর্টে গলা চেপে ধরে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ফলাফল পাওয়া যায়। পরে সিভিল সার্জন অফিস থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি থানায় পাঠানো হয়েছে।
গত (২০ জুন) সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিহাব মিয়া সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ী গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। শিহাব সৃষ্টি একাডেমিক ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। পরদিন (২১ জুন) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শিহাবের লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়। যদিও সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের কর্তৃপক্ষ এটিকে শুরু থেকেই আত্মহত্যা বলে আসছিলো।
সংশ্লিষ্ট্য সূত্রে জানা যায়, লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আরএমওসহ ৩ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ওই ৩ সদস্যদের মেডিকেল বোর্ড ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোন কিছু একটি গামছা জাতীয় পেছিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। তাছাড়া শরীরের অন্য কোন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের পরিবারের শুরু থেকেই হত্যা বলে দাবি করে আসছিলো। তারা এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন।
নিহত শিহাবের ফুপাতো ভাই আল আমিন সিকদার বলেন, চার মাস আগে সৃষ্টিতে ৫ম শ্রেণীতে শিহাব মিয়াকে ভর্তি করা হয়। সৃষ্টি থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল শিহাব এক্সিডেন্ট করেছে। আবার ফোন করে বলে শিহাব মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। শিহাব যেখানে থাকতো আমাদের সেখানে যেতে দেয়া হয়নি। শিহাব আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না।
এ ব্যাপারে সৃষ্টি শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রিপনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ময়াতদন্তের রিপোর্ট অনুয়ায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।