রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। ফাইজারের তৈরি বিশেষ করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে শিশুদের। রাজধানীর টিকাকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই শিশু ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে টিকাদান ব্যবস্থাপনায় কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশেপাশের টিকাকেন্দ্রগুলো ঘুরে এ চিত্রই চোখে পড়ে।
সেসব কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনেকটা হুড়োহুড়ি করেই কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন। শিশু স্কাউটের সদস্য ও শিক্ষকরা চেষ্টা করছেন কেন্দ্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। কেন্দ্রগুলোতে একজন মেডিকেল কর্মকর্তা ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন। শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেশি হওয়ায় তাদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অসহনীয় গরম আর প্রখর রোদে মানুষের জটলায় শিশুরা অসুস্থ হতে পারে, এমন আশঙ্কা অভিভাবকদের।
মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহীনা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষার্থী আছে। আজ টিকা নিতে এসেছে প্রায় ৮০০ জন। এছাড়া আমাদের স্কুলে টিকাকেন্দ্র হবে, এটিও হঠাৎ করেই জানানো হয়েছে। দুটি ক্লাসরুম টিকাদানের জন্য প্রস্তুত করলেও একটি রুমেই সবাইকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে কিছুটা জটলা তৈরি হচ্ছে। শিক্ষকরা সুশৃঙ্খলভাবে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রাফি জানান, আমাদের স্টাফ কম, কেন্দ্রে সেচ্ছাসেবী ও কর্মী কম। ক্যাডেটরাও শিশু। এতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ শিশুর সঙ্গে দুজন করে অভিভাবক আসছেন। অভিভাবকদের কারণেও কেন্দ্রে বাড়তি জটলা মনে হচ্ছে।
তিনি জানান, যদিও বলা হচ্ছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আছে, তবে সবাই এখনো নিবন্ধন করেনি। টিকার নিবন্ধনের ভিত্তিতে দৈনিক গড়ে ৩০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রে ধারনার চেয়েও বেশি শিশু টিকা নিতে এসেছে। আমরা সবাইকে টিকা দিতে পারবো। সেজন্য অতিরিক্ত টিকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় বেশি লাগবে।
তিনি আরও জানান, আজ হয়তো ৩৫০ জনের মতো নিবন্ধিত শিশু টিকা পাবে। এছাড়া অনেকের নামের ক্ষেত্রেও ভুল আছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করতেও সময় লাগছে।