ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ, অব্যবস্থাপনা, যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও আসনসংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় শহরের চৌরাস্তায় ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন নাগরিক ও ভূক্তভোগী রেলযাত্রীদের ব্যানারে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভূক্তভোগী আজমত রানা, রাজিউর রহমান, আব্দুল লতিফ সহ আরও অনেকে।
প্রতিবাদ সমাবেশে রেলের অব্যস্থাপনা ও টিকেট কালোবাজারির বিরুদ্ধে ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশনে ১৪ দিন যাবৎ ৬ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনির প্রতিবাদকে সাধুবাদ জানিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন নাগরিক ও ভূক্তভোগী রেল যাত্রীরা।
প্রতিবাদী সমাবেশে জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল লতিফ সহজ ডটকমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বলেন, আমি এক টিকেট কালোবাজারির সাথে একান্তভাবে আলাপ করে জানতে পারি সহজ ডটকম তাদের পরিচিত টিকেট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের সাথে মোবাইলে কথা বলে দশ মিনিটের জন্য ওয়েবসাইট ওপেন করে তাদের টিকিট ব্লক করতে সুযোগ করে দেন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় ওই কথিত টিকেট কালোবাজারি চ্যালেঞ্জ করেন এই অনিয়ম কখনোই বন্ধ হবেনা৷ কারন এখানে রেলের বড় বড় কর্মকর্তারাও জড়িত৷
সাংস্কৃতিক কর্মী মাসুদ আহম্মেদ সুবর্ণ বলেন, ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনে টিকেট কালোবাজারির সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী যে বারবার প্রতিবাদ করেও এটি রোধ করা যাচ্ছেনা। ৫০০ টাকার টিকিট যাত্রীদের জিম্মি করে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করছে কালোবাজারিরা৷ প্রতিদিন একই ব্যক্তিরা কাউন্টারে দাড়িয়ে টিকিট কাটছেন তাদের চিহ্নিত করতেও ব্যর্থ রেল কর্তৃপক্ষ। আমরা এসব অনিয়ম বন্ধ চাই অন্যথায় আরও দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ভূক্তভোগী রাজিউর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে কোন আন্তঃনগর ট্রেন ছিলোনা। আমরা ট্রেনের জন্য রেল লাইনে শুয়ে আন্দোলন করেছি। একে একে ৫ টি ট্রেন পেয়েছি। কিন্তু এতে করে যাত্রীরা সুবিধা না পেলেও টিকেট কালোবাজারিদের সুবিধা হয়েছে। যদি অনতিবিলম্বে টিকেট কালোবাজারি বন্ধ না করা হয় তাহলে আবারও প্রবল আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন এই বক্তা। সেই সাথে আসন সংখ্যা বৃদ্ধিরও বাদী জানান তিনি।