ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
২ ঘণ্টা পরই সিদ্ধান্ত বদল

তাপমাত্রা ১৭ নয়, ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

শিক্ষা ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ০৭:৪২:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে- এমন নির্দেশনা জারির দুই ঘণ্টার মাথায় তাতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ১৭ নয়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে।

 

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, চিঠি সংশোধন করা হচ্ছে। ১৭ ডিগ্রি নয়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে সেসব জেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

 

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকরা ওইসব জেলার শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন।

 

এর দুই ঘণ্টা পরই সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সিদ্ধান্তে এমন পরিবর্তনের কারণ কেউ জানাতে পারেননি। আগের চিঠিতে সই করা উপসচিব এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীকে কয়েক দফা ফোনকল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

এদিকে, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মাউশির ওয়েবসাইট থেকে আগের আদেশের চিঠিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে পরিবর্তিত আদেশের চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ওই সব জেলার শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন।

 

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত ওইসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।