তদানিন্তন বৃটিশ রাজত্বকালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রাক্কালে রেলওয়ের নিজস্ব প্রয়োজনে রেল কারখানা এবং ষ্টেশন ইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসহ অন্যান্য অবকাঠামো রেল কর্তৃপক্ষ নির্মান করেন। সৈয়দপুর পৌরসভার সহিত রেলওয়ের বিবাদমান একটি ড্রেনের উপর মার্কেট নির্মানকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালে রেল কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার রাজশাহী, বাদী হয়ে নীলফামারীর মহামান্য জজ আদালতে চেয়ারম্যান সৈয়দপুর পৌরসভা মূল বিবাদী অন্যান্য বিবাদীদ্বয় হচ্ছেন সচিব, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক, নীলফামারীকে বিবাদী করে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবীতে মহামান্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- অন্য-৭৬/০৯. অন্য-১/০৬ রুজ্জু তারিখ ০৪/০১/২০০৬ ।
মামলাটি দীর্ঘদিন পরিচালনা সৈয়দপুরের দুইজন সিনিয়র আইনজীবি। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যডভোকেট তুষার কান্তি রায় ও বিবাদী পক্ষের উকিল ছিলেন এ্যডভোকেট কামরুল হক। মামলাটি দীর্ঘ শুনানীর পর ২৪ শে ডিসেম্বর ২০১০ সালে মহামান্য আদালত মোকদ্দমাটি দোতরফা শুনানীঅন্তে বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে একতরফা সূত্রে বিনা খরচায় ডিক্রি হয়। নালিশীয় তফসিল বর্ণিত বিত্ত্ব ১নং বিবাদী পৌরসভাকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ড্রেনের উপর নির্মিত সমস্ত মালামাল অপসারন করে রেলকে উক্ত বিত্ত্বের দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। ইহার ব্যাত্যয় হলে বাদীপক্ষ আদালত যোগে দখল বুঝিয়ে নিতে পারবেন মর্মে রায় দেন। পরবর্তীতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অন্য কোন উচ্চতর আদালত থেকে উক্ত জমি দাগ নং-১০৬/১১৪/১০৫ এর মালিকানা প্রাপ্তির কোন রায় পায়নি।
উক্ত মামলায় রেল কর্তৃপক্ষ রায় এবং ডিক্রি পাওয়ার পরও উক্ত মার্কেটটি বহাল তবিয়তে নির্মিত হয়েছে মালামাল অপসারন হয়নি এবং ২০০৬ সালে থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পৌরসভা উক্ত মার্কেটে দোকান অবৈধ বরাদ্দ দিয়ে প্রতিদিন ট্যাক্স টোল বাবদ কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। রেলের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজোসে স্থানীয় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট করে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অংকের টাকা রেল হারিয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মূল্যবান সম্পদ। রেল কর্তৃপক্ষ রায় পাবার পরও দীর্ঘদিন উক্ত জমি থেকে একটি টাকাও রাজস্ব বাবদ আয় করতে পারেনি। এমনকি সাংবাদিকরা উক্ত মামালার বিষয়ে কানুনগো, পার্বতীপুরের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন মামলার কোন নথি তাদের কাছে নেই, অতীতের কর্মকর্তারা হয়ত মামলার নথি গাযেব করে ফেলেছে। রেল কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এভাবেই রেল হারাচ্ছে কোটি ্েরকাটি টাকার ভূসম্পদ। এব্যাপারে কোন সাংবাদিক সংবাদ পরিবেশন করলে তারা ভূমিদস্যুদের সাথে জোট বেঁধে সেইসব সাংবাদিকদের শায়েস্তা করার পরামর্শও দিয়ে থাকেন।