ঢাকা, সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ ১৪৩১

দেশি মদের পাট্টায় ৩লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী, পরে লেবারদের হাতে ২ঘন্টা অবরুদ্ধ মাদকের উপ-পরিচালক

মোঃ জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ ০৯:২০:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

মৌলভীবাজারে কুলাউড়ায় একটি চা বাগানের লাইসেন্স ভুক্ত দেশিও মদের দোকানে (পাট্টায়) পরিদর্শনের নামে গিয়ে অবৈধভাবে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন মৌলভীবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ। টাকা না দিলে চা বাগনের ওই মদের পাট্টা সিলগালা করার হুমকি প্রদান করেন এবং লাইসেন্স ভুক্ত মদের দোকানের মালিককে সে সময় শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন তিনি। এতে কিপ্ত হয়ে উঠেন চা বাগানের মদপায়ী লেবাররা। তারা উপ-পরিচালকসহ ৫-৭ জনকে একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে থানায় খবর দেন।

স্থানীয় এবং পুলিশসূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ ও মাদকদ্রব্যের সাহকারী প্রসিকিউটর সোয়েব রহমানের নেতৃত্বে ২৯ মে বুধবার ২০২৪ ইং, সন্ধ্যায় পরিদর্শনের নামে অভিযান চালান উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়ের লংলা চা বাগানে। সে সময় সরকারী লাইসেন্সভুক্ত (নং-১৯) দেশিয় মদের দোকানে গিয়ে দোকান মালিক মিটুনকে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন যদি সেই টাকা না দেওয়া হয় তাহলে মদের পাট্টাটি সিলগালা করে দেওয়ার হুমকি দেন মিজান। এসময় মিটুনের সাথে কথা কাটাকাটি হলে তার উপর চড়াও হন মাদকদ্রব্য ওই কর্মকর্তা। এতে উপস্থিত মদপায়ী চা শ্রমিক লেবাররা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। চাঁদা দাবীর কথা শুনে তারা মাদকদ্রব্য টিমকে একটি ঘরে প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেই সময় মাদকদ্রব্য টিমকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উপ-পরিচালক মিজান আর কোনদিন এভাবে করবেন না বলে একটি লিখিত মুছলেখা ও দেন। কিন্তু উত্তেজিত শ্রমিকরা সেই মুছলেখা প্রত্যাখান করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবী করেন। পরে ওই দিন রাত ১০ টার সময় কুলাউড়া থানার এসআই আমির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

উল্লেখ্য এর আগে ওই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে চা-বাগানের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা মহাপরিচালক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।

অভিযোক্ত মৌলভীবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফকে ঘটনাস্থলে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেন এভাবে আর কোন দিন ভুল হবে না। এবং বিষয়টি আর কাউকে না জানিয়ে তাদেরকে চা শ্রমিকদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. উর্মি বিনতে সালাম মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায় নি। খুঁজ নিয়ে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।