মঙ্গলবার(২৮ডিসেম্বর)সন্ধ্যায় জেলা শহরের অফিসার্স ক্লাব'র অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।এতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আবু সাঈদ'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
আলোচনা সভায় জেলা তথ্য অফিসের উচ্চমান সহকারী রিপু খীসা'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার বাপ্পি চক্রবর্তী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন,আমরা চাই এদেশ এগিয়ে যাবে।বর্তমানে রাজনৈতিক যে স্থিতিশীলতা আছে,সেটি বজায় থাকবে।একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।
তিনি বলেন,আমি বার বার বলি,বিভিন্ন মিটিং এ বলি,সবার আগে নিজের পরিবার।আমাদের ছোট ছেলেমেয়েরা যারা আছে,তারা প্রথমে শিখে নিজের পরিবার থেকে।এরপরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,তারপরে সমাজ।কাজেই নিজের সন্তানদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে দীক্ষিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন,৫০ বছর আগে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখোমুখি হয়ে এই দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ তাদের অটল সংকল্প ও অসীম আত্মত্যাগের বিনিময়ে ইতিহাসের ধারাকে পাল্টে দিয়েছিল এবং বাঙ্গালি জাতিকে এক নতুন অধ্যায়ের শুরুর দিকে নিয়ে যায় গিয়েছিল।সেই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশত বার্ষিকী অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান,জেলা সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ,সহকারী কমিশনার (আরডিসি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, জেলা সমবায় অফিসার আশিষ কুমার দাশ,জেলা শিশু একাডেমির কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোহাম্মদ বাতেন,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা,খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ত্রিনা চাকমা,জেলা গণ-গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ওয়েন চাকমা,প্রেস ক্লাবে সাধারণ সম্পাদক মো: আবু তাহের সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।