কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছয়জনকে উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম, বিআইডব্লিউটিএ ও ডুবুরি দল এই উদ্ধারকাজ শুরু করে।
এ সময় মেঘনা সেতুর তিন ও চার নম্বর পিয়ার এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে নদীর প্রশস্ততা ও গভীরতার কারণে অভিযানে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এর আগে শনিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি ও ভৈরব পৌর শহরের কিশোরী আরাধ্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ২০/২২ জন যাত্রী নিয়ে পর্যটকবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে একজন নিহত ও দুই পরিবারের সাতজনসহ আটজন নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ থাকা যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) এছাড়াও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার (১৮)।
ভৈরব নৌ বন্দরের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, আমরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছি। ঘটনাস্থলে একাধিক টিম যৌথভাবে কাজ করছে।
এ ঘটনায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় নিখোঁজ কনস্টেবলের বাবা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।