ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নিম্নমানের হেলমেট ব্যবহার বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

মোটরসাইকেলের হেলমেটের মান নির্ধারণ করে দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী চালক-আরোহীদের নির্ধারিত মানের হেলমেট ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

 

মন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেটের মান নির্ধারণের জন্য বিআরটিএকে বলা হয়েছিল। তবে এর যথাযথ কর্তৃপক্ষ হলো বিএসটিআই। সংস্থাটির সঙ্গে বিআরটিএ যোগাযোগ রাখছে। আমাদের সচিবও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। শিগগিরই এক নীতিমালা বা স্পেসিফিকেশন বিএসটিআই করে দেবে। যারা হেলমেট ব্যবহার করেন, তাদেরকে সেই নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

 

‘প্রায়ই মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট (দুর্ঘটনা) হচ্ছে। এসব ঘটনায় অঙ্গহানির সঙ্গে জীবনও যাচ্ছে। বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখেই নীতিমালা করা হচ্ছে।’

 

বিআরটিএ-তে জনবলের ঘাটতি রয়েছে বলেও এসময় জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, বিআরটিএ’র জনবল বাড়ানোর বিষয়ে আমরা সুপারিশ করব। সংশ্লিষ্ট সচিব এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

 

‘ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলগুলো বিআরটিএ’র নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করা হবে। এ বিষয়ে একটি প্রোগ্রাম ঘোষণা করে বিআরটিএ তদারকি শুরু করবে। চালক এবং শ্রমিকদের ডোপ টেস্ট আমরা প্রবর্তন করেছি।’- বলেন তিনি।

 

টার্মিনাল ছাড়া টোল আদায় করলে মামলা

 

বাস টার্মিনাল ছাড়া টোল আদায় করলে চাঁদাবাজির মামলা হবে বলেও এসময় জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, ‘টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোথাও টোল আদায় করা যাবে না। বাস কিংবা ট্রাকে মালিক ও শ্রমিক সমিতি একটি টোল নিয়ে থাকে। তারাই সেটা নির্ধারণ করেন। সেটা টার্মিনাল ছাড়া কোনো জায়গা থেকে নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সোজা কথা হলো চাঁদাবাজির মামলা হবে তাদের (বাস টার্মিনাল ছাড়া টোল আদায়কারীদের) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপন দেওয়ার পরই আমাদের পুলিশ অ্যাকশনে যাবে। কোন সিটি কর্পোরেশন কোন জায়গা থেকে কত টাকা ট্যাক্স নিতে পারবে, সেটা উনারা নির্ধারণ করে দেবেন। তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা পুলিশ গ্রহণ করবে।’