উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। টানা ছয় দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জেলার জনজীবন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ৯.২ ডিগ্রি।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর)। এদিন তাপমাত্রা নেমে যায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তারপর থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকছে। শৈত্যপ্রবাহের এই ধারা বুধবার ষষ্ঠ দিনে পা রেখেছে।
শীতের সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস বাড়িয়ে তুলছে শীতের তীব্রতা। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাসে সাধারণ মানুষ কাঁপছে শীতে। খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। রিকশা-ভ্যান চালক, দিনমজুর, ও কৃষি শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার। কেউ কেউ গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, “শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বুধবারও অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই-একদিন শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”
তবে শীতের এই তীব্রতার মাঝে দিনের বেলায় কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সূর্যের আলো। প্রতিদিন সকালে ঝলমলে রোদ থাকলেও দুপুরের পর কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাস ফিরে আসে। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কিছুটা হলেও শীতের তীব্রতা সাময়িকভাবে কমিয়েছে।
অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহের কারণে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের মানুষজন শীতবস্ত্রের সংকটে ভুগছে। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি খোলা জায়গায় বসবাসরত অসহায় মানুষদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে।
সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উচিত শীতের এই সময়ে দ্রুত ত্রাণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া, যাতে শীতার্ত মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করা যায়।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/এএস