রাজশাহীর বাঘায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে সকালে কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শহীদের স্মরণে বাঘা শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের কর্মসূচি ছিল।ছিল আলোচনাসভা, শহীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ¦ালন, শোকযাত্রা,মিলাদ মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে চ’ড়ান্ত বিজয়ের দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে। মঙ্গলবার (১৪ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে বাঘা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে।
বাঘা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.লায়েব উদ্দীন লাভলু।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, বাঘা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমন্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা রয়েজ উদ্দীন, বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী, সাংবাদিক নুরুজ্জামান প্রমুখ।
প্রধান অতিথী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে রূপান্তরে যে মানুষটি ভুমিকা রেখেছিলো তিনি আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্বের অবিসাংবাদী নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। আমাদেরকে শক্র-মিত্র চিনতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে দমন করার দায়িত্ব আমাদেরই। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ নিজ গৃহ হতে তুলে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীননতা লাভের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দীন লাভলু বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধা। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের জন্য জাগ্রত হয়।
বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দূর্বল এবং পঙ্গু করে দেওয়ায়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতাবৃন্দ,সাংবাদিক, জন প্রতিনিধি।