ফরিদপুরে নিজের বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেছেন প্রবাস ফেরত এক যুবক। ফরিদপুরের সালথায় উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সুলমান সেন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মো. মহিদুল শেখ (২৫) নামে ঐ যুবক এই কান্ডটি করে বসে।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মহিদুল ওই গ্রামের মৃত কুসেই শেখের ছেলে। তবে ঠিক কী কারণে তিনি এই কাজ করেছেন তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেননি।
বড় ভাই জাহিদ শেখ জানান, মহিদুল দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিল। সেখান থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত ৩ মাস আগে দেশে ফিরে আসে। বাড়িতে আসার পরও সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ মহিদুল নিজের ঘরে ডাক-চিৎকার শুরু করে। এ সময় পরিবারের লোকজন ঘরে গিয়ে দেখতে পায়, সে নিজের বিশেষ অঙ্গ নিজেই কেটে ফেলেছে। এতে তার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, ছেলেটা কী কারণে তার নিজের বিশেষ অঙ্গ নিজেই কেটে ফেলেছে তা এখনো জানতে পারিনি। তবে সে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ওই যুবক নিজেই তার বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেছে। তবে কেন বা কী কারণে তিনি এ কাজ করেছেন তা জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।