ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

বাগমারায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুই পদে চাকরির অভিযোগ

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:২৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 রাজশাহীর বাগমারায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তথ্য গোপন করে প্রতারনার মাধ্যমে এক সঙ্গে দুইটি পদে চাকরি করছেন এবং দুইটি পদেই তিনি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি করেছেন বাগমারা উপজেলার তেগাছি সেনোপাড়া গ্রামের মৃত রহিম বক্স মন্ডলের ছেলে মুঞ্জুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলাম বাগমারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে তথ্য গোপন করে প্রতারনার মাধ্যমে এক সঙ্গে এ.আই টেকনিশিয়ান ও এনএটিপি প্রকল্পের সিল পদে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করে অসছেন এবং ওই দুইটি পদেই তিনি নিয়মিতভাবে সরকারি কোষাগার থেকে অবৈধভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আতœসাৎ করে আসছেন। 
এছাড়া তার স্ত্রী মোছা: রজুফা বেগমও তথ্য গোপন করে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মোছা: রজুফা বেগম মাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পাদ অধিদপ্তরের এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ঝিকার ইউনিয়নে এলএসপি পদে চাকরি করছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী উপজেলা প্রাণিসম্পাদ অধিদপ্তরের এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় এলএসপি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম শর্তই হচ্ছে প্রার্থীকে নিজ ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অথচ রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মোছা: রজুফা বেগম মাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়েও তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে ঝিকরা ইউনিয়নে এলএসপি পদে নিয়োগ গ্রহণ করেন এবং তিনিও অবৈধভাবে সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। 
তাছাড়া রেজাউল ইসলামের ছোট ভাই আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধেও একই দপ্তরে ভ্যাকসিনেটর পদে চাকরি করা অবস্থায় তথ্য গোপন করে আরেকটি প্রকল্পে নিয়োগের চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কাজেই সরকারি অর্থ আতœসাৎ বন্ধ করতে রেজাউল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে এ ধরণের প্রতারনামূলক কর্মকান্ডের অপরাধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম এ বিষয়ে পত্রিকায় কোনো কিছু না লিখার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন। অপরদিকে বাগমারা উপজেলা প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেছেন, খুব কম টাকার বেতনের চাকরি। কাজেই এটা এমন কোনো একটা বড় বিষয় নয়। যে কোনো মূহুর্তে আমি তার নিয়োগপত্র ছিঁড়ে ফেলতে পারি।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে জানিয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।