ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাজারে বেড়েছে মুরগি-ডিম-চিনির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২১ অক্টোবর ২০২২ ১০:৫২:০০ পূর্বাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে চিনি, ডিম ও মুরগির। অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে পণ্যসমূহের দাম জানা গেছে।

 

 

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। আকার ভেদে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি ৮০; লম্বা বেগুন ৮০; গোল বেগুন ১২০; টমেটো ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে শীতকালীন সবজি সিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। বারোমাসি সবজির মধ্যে করলা ৮০ টাকা কেজি; চাল কুমড়া পিস ৬০ টাকা; প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৬০ টাকা; মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০; চিচিঙ্গা ৬০; পটল ৬০; ঢেঁড়স ৭০; কচুর লতি ৮০; কাঁচা পেঁপে ৪০; বরবটি ৮০ ও ধুনধুল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা; লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায়। ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আসলাম বলেন, দুয়েকটি জাতের সবজির দাম বেশি থাকলেও সরবরাহ বাজারে ভালো আছে। সবজির দাম তেমন বাড়েনি।

 

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

 

সবজির দাম কম হলেও বেড়েছে খোলা চিনির দাম। এ বাজারে প্রতি কেজি চিনিতে ৫ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আগে খোলা চিনির কেজি ছিল ৯৫ টাকা। প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আগে প্যাকেট চিনির কেজি ছিল ৯৫ টাকা। লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।

 

১১ নম্বর বাজারের চিনি বিক্রেতা মো. নাহিদ বলেন, এখন পাইকারিতে চিনির ৫০ কেজির বস্তা কিনতে হচ্ছে ৪ হাজার ৯০০ টাকার বেশি দামে। অল্প লাভে ১০০ টাকায় খোলা চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে। প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।  

 

এ বাজারে দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুর ডালের কেজি ১০০ টাকা। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকায়।

 

দাম বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের। লাল ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ থেকে ২২০ টাকা।

 

ডিম বিক্রেতা শাহাদাত বলেন, ফার্মের লাল ডিমের দাম বেড়েছে। বাজার লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায় আর পাড়া-মহল্লার দোকানে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকায়।

 

ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

 

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা আরিফ বলেন, উৎপাদন কম থাকায় বেড়েছে মুরগির দাম। বাজারে মুরগির সাপ্লাইও কম। পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের নানা অজুহাতও দাম বাড়ার বড় কারণ।

 

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।