হবিগঞ্জের বাহুবলে ভালবেসে বিয়ে করার ৫ বছরের মাথায় লাশ হলেন ঝর্ণা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ। সোমবার (৬ জুন) সকালে তিনি নিজ ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
ঝর্ণা আক্তার উপজেলার চানপুর গ্রামের লেচু মিয়ার স্ত্রী। তিনি এক সন্তানের জননী।
স্থানীয় ও পুলিশ জানা যায়, চানপুর গ্রামের সফর আলীর ছেলে লেচু মিয়া প্রায় ৫ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন একই গ্রামের মৃত দরছ মিয়ার কন্যা ঝর্না আক্তারকে। বিয়ের পর তাদের সংসার সুখেই কাটছিল। এরই মধ্যে তাদের কোলজুড়ে জন্ম নেয় এক ছেলেসন্তান। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পার হতে না হতেই পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় কলহ। এ নিয়ে প্রায়ই ঝর্ণার সাথে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝগড়া হতো।
সোমবার সকালে ঝর্ণা হঠাৎ করেই নিজ বসতঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পরিবারের অন্যা সদস্যরা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে দিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কী কারণে ওই গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশি তদন্ত শেষে ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।