ঢাকা, বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ঠা পৌষ ১৪৩১

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৪২:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন আমিরুল ইসলাম বাচ্চু (৭০), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া,

বেলাল (৬০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ, তাজুল ইসলাম (৭০), বগুড়া।

আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫), খোরশেদ আলম (৫০), বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), ফয়সাল (২৮), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), প্রমুখ। আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোররাতের দিকে তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে সাদপন্থিরা কামারপাড়া ব্রিজ হয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় ভেতরে অবস্থান করা জুবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল ছোড়ে। জবাবে সাদপন্থিরাও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।

সাদপন্থি মুরুব্বি মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, ইজতেমা ময়দান এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তার অভিযোগ, জুবায়েরপন্থিদের আক্রমণে তাদের একজন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ময়দানে জুবায়েরপন্থিদের অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে বলে তার দাবি।

টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মী হাফিজুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে অসংখ্য আহত ব্যক্তি আসছেন। অ্যাম্বুলেন্স চালক আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলাল নামে এক ব্যক্তি মারা যান। নিহত অপর দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষে আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালেও পাঠানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। তবে আরও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ইজতেমা ময়দানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। তবে এখনো পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

বিশ্ব ইজতেমার মতো বৃহৎ ধর্মীয় আয়োজনকে কেন্দ্র করে এমন সহিংসতার ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শান্তি ফেরাতে উভয় পক্ষের মুরুব্বিদের মধ্যে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয়রা।

 

বায়ান্ন/এএস