মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিয়ের দুই মাসের মধ্যেই তাহমিনা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল (বজিটিলা) গ্রামের বাসিন্দা রিকশাচালক বাদশা মিয়ার মেয়ে তাহমিনাকে প্রায় দুই মাস পূর্বে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়। স্বামী নাইম হোসেন (২৪) বেলাগাঁও গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন। নাইম চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার তাজুল ইসলামের ছেলে। নাইম ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করেন।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাহমিনার বাবার বাড়ি জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভজিটিলা এলাকায়। তাঁর বাবা বাদশা মিয়া রিকশা চালান। গত এপ্রিল মাসে নাইম হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। নাইমদের মূল বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়। বছরখানেক ধরে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জুড়ীর বেলাগাঁও এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাহমিনা একটি কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরিবারের লোকজন অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায়। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে রাত ৮টার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় ওই তরুণীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আসার পর এ বিষয়ে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
