রাজধানী ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশে পুলিশের হামলা ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও চলছে অবরোধ।বিএনপির পৃথক বিক্ষোভ মিছিলে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগ। তবে ঘটেনি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা। অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ যানবাহনহীন, ফাঁকা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ প্রমূখ। এসময় বক্তারা মহাসমাবেশে পুলিশের হামলা ও গুলিবর্ষণের তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।
অন্যদিকে দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে জেলা শহরের পশ্চিমমেড্ডা এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিএনপির আরেকটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ধাওয়া করে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে মহাসড়কের পশ্চিমমেড্ডা এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পশ্চিম মেড্ডা শরীফপুর এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেয়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিল বের করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।'
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি আহুত অবরোধের কারণে জেলা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে কিছু যানবাহন চললেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-কুমিল্লা মহাসড়কের অংশে একদম ফাঁকা। সকাল থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ টহল অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, নাশকতা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কে যৌথ বাহিনী টহল দিচ্ছে। যৌথ বাহিনীতে বিজিবি, পুলিশ, র্যাাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।