ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

শীত এলেই শহর ও গ্রামীণ হাটবাজারে নানা রকম পিঠা বিক্রি করার ধুম পড়ে যায়। এবার শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুটপাতে শীতের পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। গরম গরম ভাপা, চিতল চুলা থেকে নামছে, ক্রেতারা এসে সারিবদ্ধ হয়ে পিঠা কিনছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা শহরের জনবহুল কাউতলী মোড়, সাবেরা সোবহান স্কুল গেইট, টিএরোড,ফকিরাপুল, পোস্ট অফিসের সামনে, কাঁচারি পাড়, সুপার মার্কেটের সামনে ও টেংকের পাড়সহ বিভিন্ন পাড়া- মহল্লার মোড়ে ছোট ছোট পিঠার দোকান সাজিয়ে বসছে নারী-পুরুষ বিক্রেতারা। বেচাকেনাও বেশ ভালোই চলছে। চলতি পথে থেমে বা অস্থায়ী দোকানের বেঞ্চে বসেই সন্ধ্যায় হালকা নাশতাটা সেরে নিচ্ছেন গরম গরম ভাপা পিঠা কিংবা চিতল পিঠা দিয়ে। প্রতিটি ভাপা পিঠা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা এবং চিতই ১০ টাকায়। সরিষা বাটা বা শুটকির ভর্তা থাকছে ফ্রি।

কাউতলী মোড়ে পিঠা বিক্রেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, আগে রিকশা চালাতাম। এ মৌসুমে শীতের পিঠা অনেক ভালো চলে। চাকরিজীবী ও পথচারিরা প্রতিনিয়ত পিঠা খাচ্ছেন আবার অনেকে পরিবারের জন্য বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।

টেংকের পাড়ের পিঠা বিক্রেতা জরিনা বেগম জানান, শীতের এ সময়ে পিঠা ভালো চলে। বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত তিনি কয়েক ধরনের পিঠা বিক্রি করে থাকেন। তাতে দিনে তার পড়ে ৬০০ টাকার বেশি লাভ হয়।

শহরের টিএরোডে মহসিন নামে এক কলেজ ছাত্র পিঠা খেতে এসে বলেন, আগে বাড়িতে এসব পিঠা বানানোর হিড়িক পড়তো এখন তা আর দেখা যায় না। তাই আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এই দোকান থেকে পিঠা খাই।

কাঁচারি পাড়ে ব্যাংকে কর্মরত মোস্তাফিজ নামে এক ক্রেতা বলেন, আগে গ্রামের বাড়িতে চুলার পাশে বসে পিঠা খাওয়ার ছবি এখনও চোখে ভেসে ওঠে। এখন শহরে ব্যস্ত জীবনে সেটা আর হয় না। তাই এখনা থেকেই কিনে খাই।

মহমিন বা মোস্তাফিজের মতো অেনেক ক্রেতাই ফুটপাতের এইসব দোকান থেকেই ঐতিহ্যের স্বাদ নেন আর বিক্রেতা পান আয়ের সুযোগ।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ