আজ বড়দিন। যীশু খ্রীস্টের জন্মদিন। ধর্মীয় ভাবগাম্বির্জের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন খ্রীস্টিয় ধর্মাবলম্বীরা। রাতে খীস্টযোগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সকাল ৮ টায় মহান প্রভুর ভোজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে গীর্জায় গীর্জায় প্রার্থণা। দুপুর পর্যন্ত চলবে এ প্রার্থণা। তবে গেল দু’বছর করোনা মহামারিতে বড়িদিনের আনুষ্ঠানিকতা যে আনাড়ম্বর সেটা তেমন একটা ছিলোনা। এবার করোনার বিধিনিষেধ না থাকায় দিনটিকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে খ্রীস্টিয় ধর্মাবলম্বীরা। মেহেরপুর মুজিবনগর বল্লভপুর মাঠ প্রাঙ্গণে বসবে সাতদিনব্যাপী মেলা। এছাড়াও রয়েছে ক্রিড়া প্রতিযোগীতা।
খ্রীস্টিয় ধর্মাবলম্বী বাবুল মল্লিক জানান, এবার ওমিক্রন আতঙ্কে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড়দিন পালন করার চেষ্টা করছেন তারা। যীশুর কাছে প্রার্থনা করছেন, পুরো বিশ্ব যাতে করোনা মুক্ত হয়। সব ধর্মের মানুষ পৃথীবিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন। নিজেদের মধ্যে যেন কোন ভেদাভেদ না থাকে। এছাড়াও যারা অসূস্থ্য রয়েছে তারা যাতে দ্রুত সূস্থ্য হয়ে যান।
বল্লভপুর প্যারিস ইম্মানূয়েল চার্চের পুরোহিত দীপক উজ্বল বিশ্বাস জানান, যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন শুভবড়দিন উপলক্ষে ইম্মানূয়েল চার্চের নিয়ন্ত্রনাধীন চার্চগুলোতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। গীর্জাগুলো বর্ণীল সাজে সাজানো হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ সময় খ্রিষ্ঠযোগ এর মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
বাগোয়ান ইউপি সদস্য ভবের পাড়া গ্রামের সিবাস্তিন মল্লিক জানান, বড়দিন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সর্বাত্বক সহযোগীতা করছেন এবং খ্রিষ্টান সম্প্রাদায়ের মানুষ সহ সকল ধর্মালম্বীর মানুষ আমাদের সাথে সর্বাত্তক সহযোগীতা করছে।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার বলেন, বড়দিন উপলক্ষে সরকারি সহায়তা হিসাবে উপজেলার ১৭টি চার্চ কে ৫ শত কেজি করে ঘরে চাউল দেওয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সহিত সকল অনুষ্ঠান স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করতে পারে তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, বড়দিন উপলক্ষে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করার জন্য তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলার প্রত্যেকটি গীর্জায় সার্বক্ষনিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশের টিম কাজ করছে।প্রতিবারের ন্যায় সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্হ্যবিধি মেনে খ্রিষ্টান সম্প্রাদায়ের মানুষ সতস্ফুর্ত ভাবে নিরাপত্তার মধ্যে যাতে বড়দিনের অনুষ্টান পালন করতে পারে প্রশাসনের পক্ষথেকে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।