ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন, ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়রা

শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাতক্ষীরা | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:০৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ভামিয়া-পোড়াকাটলা এলাকা থেকে বোরিং করে ভু-গর্ভস্থ্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আবিয়ার, মহব্বত ও জিন্নাত নামে স্থানীয় তিন প্রভাবশালী শুক্রবার বিকেল থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়ায় বালু উত্তোলনে আপত্তি তোলায় হুমকি ধমকী দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীদের। 

তাদের দাবি, যত্রতত্র বালু উত্তোলনে বিধি-নিষেধ থাকা সত্ত্বেও এসব প্রভাবশালীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বালু তুলছে।

পোড়াকাটলা গ্রামের সুধাংশু মন্ডল জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দু’টি মেশিন ব্যবহার করে পোড়াকাটলা দিপায়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছনের জমি থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়। অনাদী বিশ্বাস নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আর্থিক সুবির্ধার প্রলোভনে ফেলে জোরপূর্বক তার সত্ত্ব দখলীয় জমি থেকে উক্ত বালু উত্তোলন চলছে।

আইযুব আলী সরদার নামের এক গ্রামবাসী জানান, বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতরা স্থানীয়ভাবে খুবই প্রভাবশালী। যার ফলে নির্দিষ্ট বালুমহাল থেকে সংগ্রহ না করে জনবসতির মধ্যভাগের কৃষি জমি থেকে বোরিং করে বালু তুলছে। 

এভাবে বালু তোলার কারনে স্থানীয়রা ভাঙন আতঙ্কের কথা শোনাচ্ছেন বলেও আইয়ুব আলীর দাবি।

রুস্তম আলী নামের স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, ভাড়াটে জনবলসহ বোরিং মেশিন ও বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদী খাগড়াঘাট এলাকা থেকে আনা হয়েছে। কৃষি জমি থেকে বোরিং করে বালু উত্তোলনে তারা ভীতিকর অবস্থার মধ্যে পড়ার শংকায় ভুগছেন। 

তিনি আরও বলেন, উত্তোলনকৃত বালু দিয়ে বর্তমানে ৩৫নং ভামিয়া পোড়াকাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাটের কাজ চলছে। পরবর্তীতে সিন্ডিকেটটি একই অংশের ভু-গর্ভস্থ্য বালু উত্তোলন করে পার্শ্ববর্তী দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মান কাজে সরবরাহের চুক্তি সম্পন্ন করেছে। বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দুর্গাবাটি গ্রামের ভুপতি মন্ডলের বাড়ি হতে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কে উক্ত বালু ব্যবহার হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িগোয়ালীনির ৯নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা আবিয়ার জানান, বালু তোলার ব্যাপারে এসি ল্যান্ড, ইউএনও, জেলা প্রশাসকের নির্দেশ আছে। নির্দেশের কাগজ দেখতে চাইলে ‘বালু তোলা বন্ধকরার ক্ষমতা কারও নেই’-জানিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুন জানান, বালু মহালের বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ কোন জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করার অনুমতি কারও নেই। এধরনের ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে