ঝিনাইদহে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেয়া নারী ইউপি সদস্যসহ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ উপজেলাতে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- ঝিনাইদহের সদর উপজেলার কুলফাডাঙ্গা গ্রামের বাবলু মন্ডলের স্ত্রী ইউপি সদস্য নুর নেহা, মসলেম মন্ডলের ছেলে আজিম মন্ডল, করাতিপাড়ার হাসান মন্ডলের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও কালীগঞ্জ উপজেলার রাকড়া গ্রামের জলিল মন্ডলের মেয়ে রুহানী আক্তার শিলা। গ্রেফতারের সময় অভিযুক্তদের কাছ থেকে নগদ ৫৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জের নারী-পুরুষের একটি চক্র বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বাসাতে নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখে। পরে তাদেরকে ব্লাকমেইলিং করে অর্থ আদায় করে আসছিল।
এ চক্রের হাতে গত কয়েকদিন আগে সদর উপজেলার কুলফাডাঙ্গা গ্রামের হারুণর রশিদকে অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুর নেহা ও তার সদস্যরা এক লাখ ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তার কাছে পরবর্তিতে আরও টাকা দাবি করলে তিনি পরে জেলা পুলিশ সুপার আজিম-উল আহসানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের পরিপেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা দলের ওসি শাহিন উদ্দিনের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের বিষয়খালী ও কালীগঞ্জ উপজেলা শহরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অপরাধ চক্রের সদস্য ইউপি সদস্য নুর নেহা, জাহানারা বেগম, রুহানী আক্তার শিলা এবং আজিম মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কাছ থেকে নগদ ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগী হারুণর রশিদ জানান, এ নারী-পুরুষ চক্র আমাকে ফাঁদে ফেলে প্রলোভন দেখিয়ে বাসাতে নিয়ে জোরপূর্বক বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ও ভিডিও করে ব্লাকমেইল করে। সামাজিক ও সাংসারিক মান সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি তাদের দাবিকৃত ৪ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও আরও টাকার জন্য নানা হুমকি দিতে থাকে। তখন বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে লিখিত অভিযোগ করি।