সৈয়দপুর উপজেলায় রেলওয়ের দখল হয়েছে সাড়ে তিনশ একর জমি। স্থানীয় ভূমিদস্যুরা বাস্তুহারাদের ঢাল বানিয়ে দখল করেছে রেলওয়ের এইসব মূল্যবান জমি, সেখানে তারা গড়ে তুলেছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা, মার্কেট, দোকানপাট, ফ্ল্যাটবাড়িসহ অন্যান্য সকল দামী দামী স্থাপনা। রেলওয়ে হারিয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ভূসম্পদ। যার কোন রাজস্ব আদায় তো হয়ই না উল্টো দখলদারেরা উপজেলা চেয়ারম্যানের নের্তৃত্বে অধিকার সংগঠনের নামে একাত্ম হয়ে বার বার সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টি করা সহ নানান জটিলতা তৈরী করে আসছে।
এবার রেলওয়ের জমি অবৈধ দখলদারের ভূমিকায় নেমেছেন খোদ পৌর মেয়র নিজেই। রেল কর্তৃপক্ষ বৈধভাবে পৌরসভাকে ২৫.৭৫ একর জমি বরাদ্দ দিলেও পৌরসভা বরাদ্দের দ্বিগুন জমি দখল করে মার্কেট দোকান নির্মান করে দিব্যি পৌরসভার হোল্ডিং আদায় করে আসছে। অথচ জমির মূল মালিক রেলওয়ে তাদের বরাদ্দ দেওয়া ২৫.৭৫ একর এবং অবৈধভাবে দখল হওয়া অন্যান্যজমির বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। বরাদ্দকৃত ২৫.৭৫ একর জমি নিয়ে পৌরসভা এবং রেলের মধ্যে মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
তারই ধারাবহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেলকে আধুনিকায়ন ও রেলের আয় বৃদ্ধির জন্য গত ৭/১২/২১ তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা স্বারক নং-ল্যান্ড- পাকশী/পার্বতীপুর ১৬/২৭০ স্বারক মূলে পৌরমেয়রকে ২৫.৭৫ একর জমির সীমানা বুঝে নেওয়ার জন্য ২০/১২/২০২১ তারিখে সকাল ১০টায় রেলের ভূসম্পত্তি বিভাগের ফিল্ড কানুনগো ও আমিন সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সীমানা নির্দ্ধারন করবে। উক্ত দিনে পৌরসভাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিলো। উক্ত সরকারী চিঠি পাওয়ার পরও সরকার দলীয় পৌরমেয়র রাফিকা আকতার জাহান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহীত রেলের উন্নয়নে সহযোগীতা না করে পৌরসভার লেটারহেড প্যাডে তার স্বাক্ষরিত বিভাগীয় ভূসম্পত্তি বরাবর ১৫/১২/২০২১ তারিখে পত্র মারফত ২৫.৭৫ একর জমির সীমানা নির্দ্ধারনে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এর মূল কারণ হিসাবে জানা যায় পৌরসভা উক্ত জমি বুঝে নিলে অতিরিক্ত অবৈধ দখলে থাকা জমির কর্র্তত্ব পৌরসভার ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে রেলের নিয়ন্ত্রনে চলে যাবে তাই মেয়র অবৈধ দখলদারদের বাঁচাতে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্রদ্রোহীতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ইতিপূর্বেও মেয়র রেল এবং দূদক কর্তৃক ২৮/০৯/২১ ও ২৯/০৯/২১ তারিখে শহরে ২৫.৭৫ একরের বাইরের অবৈধ দখলদারকে কানুনগো অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ উক্ত মাইক আটকিয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে হেনস্থা করেন। এব্যাপারে স্থানীয় দাবানল পত্রিকার সাংবাদিক মেয়রের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের নামে মিথ্যা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ জানায় সরকারী চিঠি অবমাননা সরকারী কাজে বাধার শামিল, মেয়র মহোদয় রেলকে সহযোগীতা না করে ভূমিদস্যুদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন যা দেশের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়। পৌরমেয়র সরকার দলীয় হওয়া সত্বেও বারবার সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন কার ইশারায় তার এই অবৈধ কর্মকান্ডের ক্ষমতার উৎস কোথায়?