বান্দরবানের লামা গজালিয়া ইউনিয়নে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে রির্টানিং ও প্রিসাইডিং অফিসারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগে মামলা করেছেন শিরিন আক্তার নামে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের এক নারী মেম্বার প্রার্থী।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর'২১) লামার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানের আদালতে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। বিচারক বাদীর অভিযোগটি গ্রহণ করে বান্দরবান পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ শওকত আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওই নারীর অভিযোগ, গত ১১ নভেম্বর লামা উপজেলার অন্য ৭টি ইউনিয়নের ন্যায় তার ইউনিয়নেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন ভোট গ্রহণ শেষে ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রদানকৃত কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফলে তিনি বই প্রতীকে মোট ৫২৪ ভোট পেয়েছেন।
একইভাবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সূর্যমুখি ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৫১১ ভোট। তবে উপজেলার নির্বাচন কন্ট্রোল রুম থেকে রির্টানিং কর্মকর্তার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় রেমং মেম্বার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল জালিয়াতির মাধ্যমে পাল্টে দিয়ে দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট সমান সংখ্যক দেখানো হয়েছে।
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবহিত করার পরও কোনো প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের দুই নারী প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় যথা নিয়মে ২৪ নভেম্বর পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।