ভোলার মনপুরায় হঠাৎ জ্বর ও চোখ ফুলে উপজেলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ৪০ ছাত্র অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় মাদ্রাসা। ওই মাদ্রাসায় আবাসিক রুমে থেকে দেড় শতাধিক ছাত্র হেফজ, নাজেরা ও নুরানী বিভাগে পড়ালেখা করে।
রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আতংকে রোববার (২৫ সেপ্টেন্বর) সকাল থেকে মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাও. আবদুল মান্নান।
তিনি জানান, শনিবার বিকেলে অসুস্থ্য ৪০ ছাত্রকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশিকুর রহমানকে দেখানো হয়। ডাক্তার সাহেবের পরামর্শে ছাত্রদের বিশ্রামে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ভাইরাস ও ছোঁয়াচে রোগটি যাতে অন্যান্য ছাত্রদের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে সেই আশংকায় মাদ্রাসাটি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অসুস্থ্য ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন-মুশফিকুর রহিম, জোবায়ের, নাহিদ, আবির হোসেন, খালেক, জামাল, কামাল, আবদুল্লাহ, রহমান, আসাদ, জামাল, রহিম, আব্বাস, মনির, নজরুল, ছিদ্দিক ও রফিক। এরা সবাই মাদ্রাসার আবাসিক রুমে থেকে হেফজ, নাজেরা ও নুরাণী বিভাগে পড়তেন। এদের সবার বাড়ি উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া, দক্ষিণ সাকুচিয়া ও মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ, নাজেরা ও নুরাণী বিভাগ রয়েছে। এই তিন বিভাগে দেড় শতাধিক ছাত্র পড়াশুনা করে। অধ্যায়নরত ছাত্ররা উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ছাড়াও ভোলা জেলার অন্যান্য উপজেলার রয়েছে। এই মাদ্রাসাটি উপজেলা হাজিরহাট সদরে অবস্থিত এবং উপজেলার প্রথম হেফজখানা।
এই ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশিকুর রহমান অনিক জানান, রোগটি ভাইরাস ও ছোঁয়াচে। শনিবার অসুস্থ্য ছাত্রদের দেখে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ্য ছাত্রদের ৭ দিন বাড়িতে রেখে চিকিৎসার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়াও এই ধরনের অসুস্থ্য রোগিরা পুকুরে গোসল না করে কলের পানিতে গোসলসহ এদের ব্যবহৃত কাপড়, গামছা অন্যান্যরা ব্যবহারে না করতে পরামর্শ দেন তিন। এখই সর্তকতা অবলম্বন না করলে দ্রুত রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন তিনি।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশিষ কুমার জানান, রোগটি যাতে না ছড়িয়ে পড়ে সেই ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে ।