ঢাকা, মঙ্গলবার ৭ মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীপুর : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৩২:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিয়ো। আমি তোমাদের সঙ্গে থাকতে পারলাম না। আমার জান (স্ত্রী) আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষ দিই না। কারও কোনও দোষ নেই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করছে। সবাই ভালো থাকবে। আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিয়ো মা। আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁসি দিলো। তার জন্য সম্পূর্ণ আমি দায়ী। এতে কারও কোনও দোষ নেই।’ মৃত্যুর আগে এভাবেই সুইসাইড নোট লিখে যায় নিহত ইস্রাফিল।

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে ইস্রাফিল (১৭)। তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড (মাওনা চৌরাস্তা) ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাট থেকে ফাঁসিতে ঝোলানো স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় টেবিলের ওপর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়।

 

নিহত রোকেয়ার ভাই আবু রায়হান বলেন, ‘গত প্রায় ৮ মাস মাস আগে ইস্রাফিল ও রোকেয়া একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করে। তারা শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের ফারুক হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় বিভিন্ন পোশাক কারখানায় সাব কন্ট্রাক্ট অপারেটর হিসেবে কাজ করতো। প্রায় মাস তিনেক আগে ইস্রাফিল তার মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়ে মুলাইদ এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করা শুরু করে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তারা ফাঁসিত ঝুলে আত্মহত্যা করে। তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। তবে কী কারণে এবং কেন তারা আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারছি না।’

 

কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী রোকেয়া আত্মহত্যা করার পর তার শোকে স্বামী ইস্রাফিল আত্মহত্যা করেছে। সুইসাইড নোট সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।