ভোলা এলাকায় থেকে ট্রাক বোঝাই করে তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা,ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এখন চলছে তরমুজ বেচাকেনার ধুম। বেপারিরা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানকার তরমুজ চলে যাচ্ছে বরিশাল-যশোর-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে ভোলার তরমুজ বিখ্যাত বলে প্রচলন আছে।
বিগত বছরগুলোয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তরমুজ আবাদে লোকসান গুনতে হয়েছে কৃষকদের। গত দুই বছর যাবত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এবার ৭৯৯৯ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাওদর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করলেও আবাদ হয়েছে ১০০০০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে, দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
ভোলায় চলছে এখন তরমুজ তোলার উৎসব। চাষি আর বেপারিদের পদচারনায় মুখর জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল। তরমুজের বাম্পার ফলন দেখে চাষিদের চোখে-মুখে হাসি ফুটেছে।
সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের বাঘমারায় তরমুজ চাষি ইউসুফ মাঝি জানান, তিনি ২০ কানি জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন, কানি প্রতি দেড় লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। কানি প্রতি তিন লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করার আশা করছেন। চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের চাষী নুরু হাওলাদার জানান, এবার ৩০ কানি জমিতে তরমুজের আবাদ করেছি, লাখ ৩০ টাকা খরচ হয়েছে আর জমির তরমুজের ফলন পাইকারদের কাছে নগদ ২ কোটি টাকা বিক্রি করে দিয়েছি। জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান (শষ্য) জানান,বিগত বছরগুলোয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তরমুজ চাষে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। দুই বছর যাবত চাষীদের আবাদ বেড়েছে, ফলন হয়েছে ভাল, দামও পাচ্ছেন বেশী। আগামী বছরগুলোয় চাষিরা আরও বেশী জমিতে তরমুজ চাষ করবেন বলে তিনি আশাবাদী।