পদ্মা সেতুতে পারাপারের জন্য গত দুদিন মাওয়া টোল প্লাজায় যানবাহনের চাপ না থাকলেও ছুটির দিন শুক্রবার (১ জুলাই) বেড়েছে। সকাল দিকে অবস্থা আগের মতো থাকলেও দুপুর থেকে শত শত গাড়ি সেতু পারাপারের জন্য টোল প্লাজায় আসছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে দ্রুত টোল আদায় হওয়ায় দেখা যায়নি যানজট।
সরজমিনে দেখা যায়, পাঁচটি বুথ দিয়ে টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পাঁচ লেনের মধ্যে দুটিতে পণ্যবাহী ট্রাক, অপর তিনটিতে ব্যক্তিগত গাড়ি ( প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস) ও গণপরিবহন টোল দিচ্ছে। ১৫-২০ সেকেন্ডে আদায় হচ্ছে টোল। ধারাবাহিকভাবে প্রতি লেনেই ১০-১৫টি গাড়ি দেখা গেলেও দীর্ঘ সারি তৈরি হয়নি।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে আজও বন্ধ ছিল মোটরসাইকেল চলাচল। আগের মতো পিকআপ-ট্রাকে পার হতে দেখা যায় কিছু মোটরসাইকেল।
শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও হাইওয়ে পুলিশ। এরপরও কিছু সংখ্যক মোটরসাইকেল সেতুতে ওঠার চেষ্টায় টোল প্লাজার অভিমুখে আসছে। তবে তাদের পদ্মা সেতু উত্তর থানা মোড় থেকেই বিকল্প পথে ফিরিয়ে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইয়ুব আলী নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার বাড়ি যশোর। শুক্র-শনি অফিস বন্ধ তাই বাসায় যাচ্ছি। এখন তো কোনো ঝামেলা নেই। তবে আসার পথে এক্সপ্রেসওয়ের টোল দিতে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরপর তো গাড়ি শাঁ শাঁ করে টেনে এলো কোনো বাধা নেই। এখন সেতুতে উঠবো, সেখানেও ভোগান্তি নেই।’
বাসের হেলপার মো. লিমন বলেন, ‘আজ যাত্রী বেশি। অনেকের বাড়ি ওইপাড় (ঢাকার বাইরে)। দেশগ্রামে যাইতাছে। শুক্রবারে ফেরি ঘাটেও গাড়ি বেশি থাকতো। আজকা তো প্রথম শুক্রবার। সেতু দিয়া যাইবো সবাই।’
একই বাসের আরেক যাত্রী নুরউদ্দিন বলেন, ‘আরিচার গাড়িও এই রুট দিয়ে যায়-আহে। আর বন্ধের দিন মানুষও বেশি গাড়িও বেশি। তয় ভোগান্তি নাই। আগে যেমুন ঘাটে গিয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা বইসা থাকতাম, এখন আর ওইদিন নাই।’