ঢাকা, শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১

মাদকাসক্তদের রক্ত নিয়ে বাসায় ব্লাড ব্যাংক

আব্দুল কাইয়ুম,সাভার (ঢাকা) | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২২ জুন ২০২৩ ১০:০৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
সাভারে নিজের ভাড়া বাসায় ব্লাড ব্যাংক খুলে বসেছেন আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তি(৫৬)। যেখানে মাদকাসক্ত ও অভাবগ্রস্তদের কাছ থেকে কৌশলে সংগ্রহ করা হয় রক্ত। নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, নেই সনদ। রক্ত সংগ্রহ করার আগে হয়না কোন পরীক্ষাও। সংগৃহীত রক্ত রাখার ফ্রিজে রাখা হয় শাক সবজিও। মাদকাসক্ত সহ বিভিন্ন ব্যক্তির রক্ত সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করেন তিনি। অজ্ঞান করেও অনেকের রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। খবর পেয়ে অভিযান চালায় সাভার উপজেলা প্রশাসন।
 
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার রাত ১০ টার দিকে সাভার রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাকে শাস্তির আওতায় আনেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সায়েমুল হুদা ও আইনশৃংখলা বাহিনী।
 
আব্দুল জলিল পাবনা জেলার চাটমোহর থানার মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে। তিনি সাভারের থানা রোডের একটি বাসায় ভাড়া থেকে প্রায় ১ বছর ধরে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। তার কাছ থেকে ১০ ব্যাগ রক্ত ও বিপুল পরিমাণ রক্ত সংগ্রহের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
 
আটক জলিল বলেন, 'রক্ত তো জোর করে নেওয়া সম্ভব নয়। কৌশলেই নিতে হয়। আমি ভুল স্বীকার করেছি। এসব রক্ত রাজধানীর পান্থপথের আলিফ, কলেজ গেটের রাজধানী, কলেজ গেইটের বাংলাদেশ ব্লাড ব্যাংক ও গ্রীনরোডের নিরাপদ হাসপাতালে ১২০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছি।'
 
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, কোনরকম ব্লাড ক্রসম্যাচ এবং ব্লাড গ্রুপিং ছাড়াই তিনি রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ করতেন। অপরাধীর অপরাধ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড  এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
 
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, অভাবগ্রস্তদের কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে অজ্ঞান করতেন জলিল। পরে কৌশলে রক্ত সংগ্রহ করতেন। গ্রেপ্তারকৃতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।