রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলের জন্য দেশভিত্তিক রফতানির তথ্য প্রকাশ করেছে। এই সময়ে বাংলাদেশের মোট পোশাক রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৭% প্রবৃদ্ধিসহ ৪২.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এই মোট পোশাক রফতানির মধ্যে ২১.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক (মোট রফতানির ৪৯.৭৮%) ইইউ বাজারে গেছে। যুক্তরাজ্যের শেয়ার ছিল ১০.৭৭% এবং মোট ৪.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্তরাজ্যে রফতানি করা হয়েছে; ৭.৭৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি করা হয়েছে, যা মোট রফতানির ১৮.১৪% ছিল; কানাডার শেয়ার ছিল ৩.২৬% এবং মোট ১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক কানাডায় রফতানি করা হয়েছে। এছাড়া ৭.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি হয়েছে অপ্রচলিত বাজারে, যার ১৮.০৪% শেয়ার ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। কারণ এটি বাংলাদেশের পোশাক রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য, যেখানে জুলাই-মে ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় জুলাই-মে ২০২২-২৩ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৯৪% এবং পোশাক রফতানি ১৯.৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২১.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। জার্মানিতে উল্লেখিত সময়ে পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের (জুলাই-মে ২০২১-২২) তুলনায় রফতানি ৭.২২% হ্রাস পেয়েছে, ৬.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৬.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ফ্রান্স এবং ইতালিতে রফতানি যথাক্রমে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২.০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছেঁ রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৩.৪% এবং ৪৪.৮১%।
উল্লেখিত অর্থবছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি ৫.০৭% কমেছে, ৮.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে হ্রাস পেয়ে ৭.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রফতানি যথাক্রমে ১২.১৭% এবং ১৭.৬২% বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের রফতানি ১৮.০৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে ৪৫.৫০% ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যেখানে রাশিয়া এবং চিলিতে যথাক্রমে ২৮.৮২% এবং ১১.৭৯% ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।