মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় রাজারদিঘীর পানিতে পড়ে ডুবে নাবিলা আক্তার (৭) ও তাছলিমা আক্তার (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ২শিশু সম্পর্কে চাচাতো বোন-বোন।
মর্মান্তিক ঘটনাটি শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ইং, সন্ধ্যায় কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে দেওগাঁও গ্রামের রাজারদিঘিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নাবিলা আক্তারের বাবা আত্তর আলী ও তাছলিমার বাবার নাম মুরাদ মিয়া। মুরাদ মিয়া রাজারদিঘীতে চৌকিদারের কাজ করেন ও আত্তর আলী ডেকোরেটার্স কর্মী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের দেউগাঁও গ্রামে প্রতিবেশী এক বাড়িতে যায় নাবিলা ও তাসলিমা। বিকেলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও নাবিলা ও তাসলিমা বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে সন্ধ্যা ৬টার সময় বাড়ির পাশে বিশাল রাজার দিঘীতে দুইজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
ইউপি সদস্য কিবরিয়া হোসেন খোকন বলেন, আসরের পর তারা দুইজন কিভাবে দিঘির পানিতে পড়ে যায় পরিবারের কেউ জানতে পারেননি। অনেকক্ষণ তাদের না দেখে খোঁজাখুজি করে। একসময় দিঘির পানিতে ভাসতে দেখে তুলে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার দুই জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে দুই পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে। ঈদকে সামনে রেখে দুই জনের জন্যই তাদের বাবারা নতুন জামা-কাপড় কিনেছিলেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনিসহ অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পুলিশি কার্যক্রম শেষে শিশু দুটিকে দাফন করা হবে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।