লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলার সময় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় সজীব নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। বাড়ি সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে।
স্থানীয় বিএনপির দাবি, তিনি যুবদলের কর্মী। আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে জেলা শহরের সামাদ মোড় সংলগ্ন কলেজ রোডের পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সজীবের মৃতদেহ সেখানেই পড়ে ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা চলার সময় শহরের সামাদ মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সজীব নামে ওই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। প্রাণে বাঁচতে তিনি কলেজ সড়কের মদিনউল্যা হাউজিংয়ের পাশের ফিরোজা টাওয়ার নামে একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নেন। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, নিহত সজীব যুবদলের কর্মী। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এদিকে জেলা শহরের ঝুমুর সিনেমাহল এলাকা, রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতাল, মটকা মসজিদ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী। অনেকের গায়ে ছররা গুলি লেগেছে। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষুব্ধদের লক্ষ্য করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইব্রাহিম শত প্রায় ২ শতাধিক নেতা - কর্মী আহত হয়েছে ।
এ বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ সদর হাসপাতালে অবরুদ্ধ দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার ও আহত ৫জন পুলিশ সদস্যকে ভর্তি করাতে এসে বলেন, কীভাবে সজীবের মৃত্যু হয়েছে, আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। এখনই এ বিষয়ে বলতে পারব না।