প্রায় দুই দশক পর বুধবার (১১ মে) লক্ষ্মীপুর সদর থানা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। বহু প্রতীক্ষিত এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
লক্ষ্মীপুরে সদর ও পৌর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালে। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
লক্ষ্মীপুরে ২০১৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে গোলাম ফারুক পিংকু সভাপতি ও এডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ ৭ বছরে লক্ষ্মীপুর সদর থানা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য ১০-১২ বার তারিখ ঘোষণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অবশেষে সেটা আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
এ সম্মেলনকে ঘিরে চলেছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। শহরজুড়ে প্রার্থীদের বড় বড় বিলবোর্ড ব্যানার—ফেস্টুনে ভরে গেছে। প্রচার প্রচারণায় দেখা গেছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারও। সম্মেলনে প্রধান অতিথি দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন- সদর থানার বর্তমান আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হেদায়েত হোসেন এবং লক্ষ্মীপুর বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট মোসাদ্দেক হোসেন সবুজ। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন- সাবেক থানা কৃষকলীগের সভাপতি ও বর্তমান তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ জে এম ইসমাইল হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল হাসান পলাশ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী, দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহআলম, চর রমনীমোহন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন মেম্বার।
লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান সভাপতি ইসমাইল হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূইয়া আজাদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন পৌর আওয়ামী লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহির উদ্দিন বাবর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মিঠু।
সম্মেলনের বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এড.নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, দলের ভিতরে প্রতিযোগিতা থাকবেই। আওয়ামীলীগ গনতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী। তারই ধারাবাহিকতায় বহুদিন পর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত নেতা - কর্মীরা। কর্মীদের যাকে ভালো লাগবে তাকেই নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ হচ্ছে।